
দিল্লির লালকেল্লার কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণের তদন্তে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ পাচ্ছে। হরিয়ানার ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়, যেটি ইতিমধ্যেই এই মামলায় তদন্তের আওতায় এসেছে, এখন আরও বড় বিতর্কে জড়িয়েছে। জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়টি এমন এক অধ্যাপককে নিয়োগ দিয়েছিল যিনি জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের তরফে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে চাকরি হারিয়েছিলেন।
সূত্রের খবর, ওই অধ্যাপকের নাম ড. নিসার-উল-হাসান। তিনি আগে শ্রী মহারাজা হরি সিং হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। ২০২৩ সালের নভেম্বরে জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা তাঁকে পরিষেবা থেকে বরখাস্ত করেন। এরপরই তিনি আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগে প্রফেসর হিসেবে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি নিখোঁজ, এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।
তদন্তে উঠে এসেছে, দিল্লি-এনসিআর জুড়ে জইশ-ই-মহম্মদ সংগঠনের এক ‘হোয়াইট-কলার’ সন্ত্রাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়েছিল, যার মূল চালকরা ছিলেন কাশ্মীরের কয়েকজন চিকিৎসক। তারা ফরিদাবাদের ধৌজ ও ফতেহপুর টাগা এলাকায় ঘাঁটি গেড়ে বিস্ফোরক মজুত করেছিল বলে জানা গেছে।
এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ড. শাহিন সাঈদ, ড. মুজাম্মিল গনালে ও ড. আদিল রাথারসহ একাধিক চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে দু’জনও আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।
লালকেল্লার কাছে ১০ নভেম্বরের বিস্ফোরণে নয় জনের মৃত্যু ও দুই ডজনের বেশি মানুষ আহত হন। তদন্তে এখন স্পষ্ট, এই বিশ্ববিদ্যালয়ই হয়ে উঠেছিল সন্ত্রাস নেটওয়ার্কের শিক্ষাগত আড়াল, যেখানে চিকিৎসকদের পরিচয়ের আড়ালে চলত নাশকতার ছক।
