
দিল্লির লালকেল্লা বিস্ফোরণ মামলায় চাঞ্চল্যকর মোড়। তদন্তে গ্রেফতার হয়েছেন ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা ও চিকিৎসক শাহিন সাইদ। লখনউয়ের বাসিন্দা এই মহিলা চিকিৎসককে কয়েক ঘণ্টা আগে ফরিদাবাদে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধারের পর পাকড়াও করে এনআইএ ও এটিএস। সূত্রের খবর, শাহিন ভারতের মাটিতে জইশ-ই-মহম্মদের নারী শাখা ‘জামাত উল-মোমিনাত’-এর নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। পাকিস্তানে সংগঠনটির নেতৃত্বে রয়েছেন জইশ প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজহারের বোন সাদিয়া আজহার।
ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত অবস্থাতেই শাহিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে কাশ্মীরের চিকিৎসক মুজাম্মিল গনাইয়ের। তাঁর ভাড়া করা ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ২,৯০০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক ও দাহ্য পদার্থ যা লালকেল্লা বিস্ফোরণের মূল উপাদান বলে মনে করছে তদন্তকারীরা। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শাহিনের আচরণ নিয়ে আগে থেকেই ছিল সন্দেহ। অনুমতি ছাড়াই ক্যাম্পাস ছাড়তেন, দেখা করতেন নানা অচেনা ব্যক্তির সঙ্গে।
শাহিনের গ্রেফতারির পর তাঁর পরিবারে নেমেছে হতভম্বতা। বাবা সায়েদ আহমদ আনসারি জানিয়েছেন, এমন ঘটনার সঙ্গে মেয়ের নাম জড়ানো বিশ্বাস করা কঠিন। ইতিমধ্যেই শাহিনের দুই ভাইয়ের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছে এনআইএ।
তদন্তকারীদের ধারণা, ফরিদাবাদে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরক সরাসরি যুক্ত লালকেল্লা বিস্ফোরণের সঙ্গে। শাহিনের মোবাইল, গাড়ি ও আর্থিক লেনদেন এখন খতিয়ে দেখছে এনআইএ। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে।
