
দিল্লির লাল কেল্লার কাছে ভয়ঙ্কর গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি এক সুপরিকল্পিত সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্র ফাঁস করেছে। তদন্তে উঠে এসেছে, সন্দেহভাজনরা প্রায় ৩২টি পুরনো গাড়িতে বিস্ফোরক বসিয়ে একাধিক স্থানে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছিল।
প্রাথমিকভাবে হোয়াইট হুন্ডাই i20 এবং লাল ফোর্ড ইকোস্পোর্ট গাড়ি বিস্ফোরণের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল। পরে আরও ৩২টি গাড়ি হামলার জন্য প্রস্তুত করার বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেছে। আল-ফালাহ মেডিকেল কলেজের বালক হোস্টেলকে পরিকল্পনার মূল কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। হোস্টেলের একটি কক্ষে রাসায়নিক পদার্থ ও ডিজিটাল ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে।
বিস্ফোরণে অন্তত ১০ জন নিহত এবং ২০-এর বেশি আহত হয়েছেন। উদ্ধার হওয়া ডায়েরিতে ৮ থেকে ১২ নভেম্বরের মধ্যে হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল এবং ২৫ জনের নাম উল্লেখ ছিল।
তদন্তে ফারিদাবাদ ও কাশ্মীরের ১৫টি স্থানে রেইড চালানো হয়েছে। প্রধান সন্দেহভাজন উমার উন নবি, যিনি গাড়ি চালাচ্ছিলেন, তাঁর পরিচয় DNA পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছে। নিরাপত্তার কারণে লাল কেল্লা মেট্রো স্টেশন বন্ধ রাখা হয়েছে।
ঘটনার পর জম্মু-স্রীনগর জাতীয় সড়কে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্র জানাচ্ছে, হামলার জন্য প্রায় ২০ লাখ টাকা তহবিল করা হয়েছিল। তহবিল থেকে রাসায়নিক ও ফার্টিলাইজার ক্রয় করে IED তৈরি করার পরিকল্পনা ছিল।
দিল্লি এখনো বিস্ফোরণের প্রভাব সামলাচ্ছে। নিরাপত্তা চেকপোস্ট জোরদার করা হয়েছে এবং তদন্তে উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী সন্দেহভাজনদের সংঘবদ্ধতা ও পরিকল্পনা একটি বড় সন্ত্রাসী চক্রের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
