
আমেরিকায় যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টিনের গোপন ইমেল ফাঁস করে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ডেমোক্র্যাটরা প্রকাশিত ইমেলগুলোর দাবি, সেখানে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম উল্লেখ রয়েছে। ইমেল অনুযায়ী, ট্রাম্প এপস্টিনের বাড়িতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অবস্থান করতেন, যেখানে এপস্টিনের শিকার হওয়া মেয়েরাও উপস্থিত থাকতেন।
এপস্টিন এবং ট্রাম্পের মধ্যে একসময় বন্ধুত্ব ছিল। তবে ট্রাম্প বারবার দাবি করেছেন, তিনি এপস্টিনের অপরাধ সম্পর্কে জানতেন না। নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ্সের তদন্তকারী কমিটি হাজার হাজার পৃষ্ঠার গোপন নথি সংগ্রহ করেছে, যার মধ্যে এপস্টিনের ইমেলও রয়েছে। এই নথিপত্র নতুন করে ট্রাম্প এবং এপস্টিনের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
ডেমোক্র্যাটদের দাবি, ২০১১ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে এপস্টিন এসব ইমেল করেছিলেন। ইমেলে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে, ট্রাম্প মেয়েদের বিষয়টি জানতেন। এপস্টিনের শিকার হওয়া বেশিরভাগ নারী তখন নাবালিকা ছিলেন। এই ইমেল প্রকাশের পর ট্রাম্পের নীরবতা এবং এই সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন আরও বাড়িয়েছে।
এপস্টিন ২০১৯ সালে আত্মহত্যা করেছিলেন, তবে তার সহযোগী গিলেন ম্যাক্সওয়েল এখনও জেলে রয়েছেন। এপস্টিনের সঙ্গে ট্রাম্পের যোগাযোগ কমে আসার দাবি থাকলেও, ইমেল প্রকাশ নতুন আলো ফেলেছে ট্রাম্পের ওপর। ডেমোক্র্যাটরা এই নথিপত্রকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার সম্ভাবনা দেখছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই ঘটনা নতুন বিতর্ক তৈরি করেছে। ইমেল প্রকাশের ফলে ট্রাম্পের নীরবতা, এপস্টিনের অপরাধের সঙ্গে তার সম্পর্ক এবং হোয়াইট হাউসের নথি গোপন রাখার অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন আরও জোরালো হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে এখনও পর্যন্ত ট্রাম্প বা হোয়াইট হাউসের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এই ফাঁস হওয়া ইমেল ও ট্রাম্পের নীরবতা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক আলোচনায় নতুন অধ্যায় যোগ করেছে। এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও রাজনৈতিক মহলে সরব।
