
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ শুক্রবার সকালে ব্যাপক হামলার মুখে পড়েছে। কিয়েভের মেয়র জানিয়েছেন, প্রায় প্রতিটি জেলায় ক্ষতি হয়েছে। এক বৃদ্ধা মারা গেছে এবং অন্তত ২৪ জন আহত হয়েছে। হামলায় ৩০টি আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রাশিয়ার সাম্প্রতিক সময়ে অবকাঠামোতে আক্রমণ তীব্র হয়েছে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, রেল ব্যবস্থা এবং আবাসিক এলাকাগুলো লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। কিয়েভের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কাজ করছে, কিন্তু কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহে বাধা পড়েছে। উত্তরের দেশীয় ডেসনিয়ান্সকি অঞ্চলে কয়েকটি ভবন সাময়িকভাবে গরম পানি ছাড়া হয়েছে।
হুমকির মধ্যে রয়েছে শহরের পরিবহন ব্যবস্থা। বাস ও ট্রাম চলাচলে বিলম্ব দেখা দিয়েছে। জরুরি উদ্ধার কর্মীরা আগুন ও ধ্বংসস্তূপ থেকে ৪০-এর বেশি মানুষকে উদ্ধার করেছেন।
আক্রমণটি আসে এমন সময় যখন পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়াচ্ছে। কানাডা নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যেখানে রাশিয়ার ড্রোন, শক্তি উৎপাদন এবং সাইবার আক্রমণের অবকাঠামো লক্ষ্য করা হয়েছে। জি৭ বিদেশমন্ত্রীরা তাত্ক্ষণিক যুদ্ধবিরতি দাবি করেছে। ইউরোপীয় কমিশনও রাশিয়ার ফ্রোজেন সম্পদের একটি অংশ কিয়েভকে ঋণ হিসেবে দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে।
চার বছরের যুদ্ধের পর উভয় পক্ষই শক্ত অবস্থানে রয়েছে। রাশিয়ার সৈন্যরা পূর্ব ইউক্রেনে আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে, ইউক্রেনও রাশিয়ার অবকাঠামোতে হামলা বাড়াচ্ছে। শীতের আগেই বিদ্যুৎ সরবরাহে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
রাশিয়ান ডিফেন্স মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত রাতের মধ্যে ২০০টির বেশি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। Novorossiysk-এ শেস্কারিস তেল রিফাইনারিতে আগুন লেগেছিল, তবে তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
কিয়েভের নাগরিকরা আতঙ্কে থাকলেও শহরের উদ্ধারকর্মীরা অব্যাহতভাবে সাহায্য প্রদানে নিয়োজিত রয়েছে।
