
বছর ঘুরলেই রাজ্যে বড় নির্বাচন, তার আগে ভোটার তালিকা স্বচ্ছ করতে রাজ্য জুড়ে জোরকদমে চলছে এস আই আর–এর কাজ। কিন্তু এই ঘোষণা হতেই রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তীব্র তরজা। বিরোধী দলগুলোর দাবিতে উঠে আসছে আশঙ্কা এই প্রক্রিয়ার আড়ালে নাগরিকত্ব নিয়ে নতুন করে চাপে পড়তে পারেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে বিজেপি বিরোধী শক্তিগুলোর অভিযোগ, কেন্দ্র এস আই আর–এর পথ ধরে এন আর সি প্রয়োগের চেষ্টা চালাচ্ছে, এবং নির্বাচন কমিশনও সেই পথে চলছে।
এ অবস্থায় বিরোধী দলগুলোর পাশাপাশি পথে নেমেছে নানা নাগরিক সংগঠন এপিডিআর, নো এন আর সি মুভমেন্ট সহ বেশ কয়েকটি মঞ্চ। আজ ধর্মতলায় তাদের ডাকা নাগরিক মিছিলে উঠে এল আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ। সংগঠনগুলোর দাবি, এই প্রক্রিয়ায় মুসলিম সম্প্রদায়ের পাশাপাশি বিপদের মুখে পড়তে পারেন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ ও রূপান্তরকামী কর্মীরা, যাদের বড় একটি অংশের ডকুমেন্টেশনে এখনও নানা জটিলতা রয়েছে।
তবে ধর্মতলায় উপস্থিত আরও একদল তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের মত ছিল ভিন্ন। তাঁদের বক্তব্য এস আই আর হলে ক্ষতি নয়, বরং সুবিধাই হতে পারে, কারণ সঠিক নথি থাকলে আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। যাঁরা বহুদিন ধরে রাজ্যে কাজ করছেন, থাকছেন বা দেশের নাগরিক হিসেবে জীবন কাটাচ্ছেন, তাঁদের পক্ষে এ প্রক্রিয়া ভয়ের নয় বলে মনে করেন তাঁরা।
এই দুই ভিন্ন অবস্থান স্পষ্ট করে দিচ্ছে এস আই আর ঘিরে তৃতীয় লিঙ্গ সম্প্রদায়ের মধ্যেই তৈরি হয়েছে মতানৈক্য। কেউ আশঙ্কা দেখছেন ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তায়, কেউ আবার বিশ্বাস রাখছেন নথির শক্তিতে। আর এই দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যেই ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে রাজ্যের রাজনীতি।
