
এসএসসি-র একাদশ–দ্বাদশ স্তরের শিক্ষক নিয়োগে ফের তৈরি হয়েছে বিতর্কের নতুন তরঙ্গ। পূর্ণ নম্বর পেয়েও বহু প্রার্থী ইন্টারভিউ তালিকায় জায়গা পাননি। কাট অফের উচ্চ সীমা আর ইন-সার্ভিস শিক্ষকদের অভিজ্ঞতার নম্বর দুয়ের জোড়া চাপেই পিছিয়ে পড়ছেন ফ্রেশাররা। ইংরেজি, বাংলা, অঙ্ক ও ইতিহাস প্রতিটি মূল বিষয়েই এই সমস্যার ছবি স্পষ্ট।
কমিশনের প্রাথমিক তথ্য বলছে, ইংরেজিতে কাট অফ ৭৭, বাংলায় ৭৩, অঙ্কে ৭১ এবং ইতিহাসে ৭৫। অনেক ফ্রেশার প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় ফুল মার্কস পেলেও, অভিজ্ঞতার অতিরিক্ত ১০ নম্বরের সুবিধায় ইন-সার্ভিস প্রার্থীরা এগিয়ে গিয়েছেন। অভিযোগ উঠছে, এই ব্যবস্থাই নতুনদের সুযোগ কমিয়ে দিয়েছে। বিশেষত ইংরেজিতে বিপুল সংখ্যক ফ্রেশার বাদ পড়ায় ক্ষোভ আরও বেড়েছে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে।
শনিবার রাতে প্রকাশিত হয় একাদশ–দ্বাদশ স্তরের ইন্টারভিউ-যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা। কমিশন সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রায় ২০ হাজারের বেশি প্রার্থীকে ডাকা হয়েছে, যার প্রায় অর্ধেকই ফ্রেশার। তবে অনেক ইন-সার্ভিস শিক্ষক নথি যাচাই পর্যায়ে জায়গা পাননি। অথচ ধারণা করা হচ্ছে, তারা নবম–দশম স্তরের নিয়োগে সুযোগ পেতে পারেন। যদিও সেই নথি যাচাই এখনও শুরু হয়নি।
বর্তমানে একাদশ–দ্বাদশ এবং নবম–দশম মিলিয়ে মোট শূন্যপদ ৩৫,৭২৬। তার মধ্যে ১২,৫১৪টি শূন্যপদ উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে। এ বছর একাদশ–দ্বাদশের লিখিত পরীক্ষা হয় ১৪ সেপ্টেম্বর। আবেদন করেছিলেন ২ লক্ষ ৪৬ হাজার প্রার্থী। তার এক সপ্তাহ আগে, নবম–দশমের পরীক্ষা হয়েছিল প্রায় ৩.২০ লক্ষ আবেদনকারীর অংশগ্রহণে।
পূর্ণ নম্বর পেয়েও চাকরি না পাওয়ার তথ্য সামনে আসতেই বাড়ছে ক্ষোভ, তৈরি হচ্ছে প্রশ্ন। নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা, অভিজ্ঞতার নম্বরের ভূমিকা এবং কাট অফ নির্ধারণ নিয়ে নতুন করে বিতর্ক জোরদার হয়েছে। বহু চাকরিপ্রার্থী বলছেন, এই পরিস্থিতি ফ্রেশারদের প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে দিচ্ছে এবং তাদের ভবিষ্যৎকে আরও অনিশ্চিত করে তুলছে।
