
বিহার নির্বাচনে বিরোধী জোটের বড় পরাজয়ের ঠিক পরদিনই রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন ঝড় তুললেন লালু প্রসাদ যাদবের মেয়ে রোহিনি আচার্য। সারন লোকসভা আসনের এই প্রার্থী হঠাৎই দল ও রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা করে রীতিমতো বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন। রবিবার তিনি আরও বিস্তারে জানালেন, গত কয়েক মাসে দলীয় রাজনীতির ভিতরে তিনি প্রবল অপমান, গালিগালাজ ও অপদস্থতার মুখে পড়েছেন। এমনকি প্রচারের সময় তাঁকে নিয়ে অশোভন আচরণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
রোহিনির দাবি, নিজের সম্মান ও সত্যের পাশে থাকার সিদ্ধান্তই তাঁকে দলের একাংশের চোখে বোঝা করে তুলেছিল। ফলে একসময় পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে পরিবার ও দল দুটো জায়গা থেকেই তাকে বিচ্ছিন্ন হতে হয়েছে। পরিবার ছেড়ে যেতে হয়েছে ভেঙে পড়া মনে, আর তাতে তিনি নিজেকে পুরোপুরি একা অনুভব করছেন বলে জানান। বিহারের রাজনৈতিক মহলে রোহিনির এই ক্ষোভনামা নতুন আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
শনিবার রাতে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন যে তাকে লক্ষ্য করে নানা ভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল, এবং শেষপর্যন্ত তাকে নিজেই সমস্ত দোষ নিজের ঘাড়ে নেওয়ার মতো অবস্থায় ঠেলে দেওয়া হয়। এরপর তিনি জানান, তিনি আর রাজনীতিতে ফিরবেন না এবং নিজের পরিবার থেকেও দূরে সরে যাচ্ছেন। রবিবার পাটনা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, নির্বাচনী ব্যর্থতার কারণ নিয়ে প্রশ্ন তুললেই তাকে দলীয় নেতৃত্বের ওপর আঙুল তোলার অভিযোগে একঘরে করে দেওয়া হয়েছে।
বিহার নির্বাচনে আরজেডি-মহাজোটের ভরাডুবির মাঝেই রোহিনির এই অভিযোগ ঘিরে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। লালু পরিবারের অভ্যন্তরীণ টানাপড়েন প্রকাশ্যে চলে আসায় জোটের ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।
