
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গাজা শান্তি পরিকল্পনা অনুমোদনের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তা নিজের এক বড় কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে তুলে ধরেছেন। আলোচিত এই প্রস্তাবটি মূলত মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, মানবিক করিডর সম্প্রসারণ এবং প্রশাসনিক পুনর্গঠনের মতো বিষয়কে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে। এর মাধ্যমে গাজার দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
ওয়াশিংটন দীর্ঘদিন ধরে এই পরিকল্পনাকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়ার চেষ্টা করছিল। নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে প্রস্তাব পাস হওয়ায় আলোচনার টেবিলে নতুন গতি এসেছে বলে কূটনৈতিক মহল মনে করছে। বিশেষ করে আরব শক্তিগুলোর মধ্যে এক ধরনের সতর্ক আশাবাদ দেখা যাচ্ছে। যদিও সমালোচকরা বলছেন, পরিকল্পনার বাস্তবায়নই হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, কারণ মাটির বাস্তবতা এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর আস্থা ঘাটতি এখনও প্রকট।
নতুন করে আলোচনায় এসেছে তথাকথিত পিস বোর্ড নামের কাঠামো, যা প্রস্তাব অনুযায়ী আন্তর্জাতিক পুনর্গঠন প্রচেষ্টা সমন্বয় করবে। এই কাঠামোর নেতৃত্বে থাকবে মার্কিন প্রশাসন। বিশ্ব রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব পুনর্গঠনের অংশ হিসেবেই ট্রাম্পের এই উদ্যোগকে বিশ্লেষকরা দেখছেন।
এদিকে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা বলছে, যেকোনো শান্তি পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা উচিত যুদ্ধাহত মানুষের নিরাপত্তা, ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামোর দ্রুত পুনর্নির্মাণ এবং অবরুদ্ধ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন। পরিকল্পনাটি বাস্তবে কীভাবে কার্যকর হয়, এখন তা-ই দেখার বিষয়।
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, নিরাপত্তা পরিষদের এই ভোট কূটনীতিতে একটি অগ্রগতি হলেও গাজায় দীর্ঘদিনের অবরোধ, রাজনৈতিক বিভাজন এবং আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা দূর না হলে স্থায়ী শান্তি স্থাপন কঠিনই থেকে যাবে। বিশ্ব এখন অপেক্ষা করছে পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।
