
এলন মাস্ক আবারও প্রযুক্তি দুনিয়ার আরেক মহারথী জেফ বেজোসকে কটাক্ষ করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। বেজোস তাঁর নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্ল্যাটফর্ম ‘প্রজেক্ট প্রমিথিউস’ উন্মোচন করতেই মাস্ক বিদ্রূপে মন্তব্য করেন যে এই উদ্যোগ নিছক নকলের পুনরাবৃত্তি। দুই প্রযুক্তি বিলিয়নিয়ারের পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবার এআই অঙ্গনে নতুন মাত্রা পেয়েছে।
মাস্ক এর আগেও এই অভিযোগ তুলেছিলেন স্পেসএক্সের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট উদ্যোগের পর বেজোস যখন অনুরূপ স্যাটেলাইট প্রকল্পে নেমেছিলেন, কিংবা আত্মচালিত গাড়ির বাজারে টেসলার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে জুক্স অধিগ্রহণ করেছিলেন তখনও একই মন্তব্য শোনা গিয়েছিল। এবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হচ্ছে।
প্রজেক্ট প্রমিথিউস বেজোসের প্রথম বড় কার্যকরী ভূমিকা আমাজনের প্রধান পদ ছাড়ার পর। প্ল্যাটফর্মটির নেতৃত্বে আছেন গুগল এক্সের প্রাক্তন বিজ্ঞানী বিক বাজাজ। কম্পিউটার, মহাকাশ এবং অটোমোবাইলসহ জটিল প্রকৌশল খাতে উন্নত এআই ব্যবহারের লক্ষ্য এই প্রকল্পের মূল চালিকাশক্তি।
শুরুতেই বিশাল তহবিল জোগাড় করেছে নতুন কোম্পানি, যার একটি বড় অংশ বেজোসের নিজস্ব বিনিয়োগ। ইতিমধ্যেই প্রায় একশো গবেষক দলভুক্ত হয়েছেন, যাদের বড় অংশ এসেছে ওপেনএআই, ডীপমাইন্ড ও মেটার মতো অগ্রগণ্য সংস্থা থেকে। এদিকে মাস্কের এক্সএআই নিজের গ্রোক মডেলের মাধ্যমে বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বী অবস্থানে রয়েছে।
মহাকাশ প্রযুক্তি, স্যাটেলাইট ইন্টারনেট এবং এখন এআই দুই উদ্যোক্তার প্রতিযোগিতামূলক পথচলা প্রযুক্তি অঙ্গনে নতুন মনোযোগের জন্ম দিচ্ছে। বেজোসের নতুন প্রকল্প শিল্প উৎপাদন ও প্রকৌশলের বাস্তব সমস্যায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বাড়াতে চায়, আর মাস্ক তাঁর নিজস্ব এআই সাম্রাজ্যকে আরও বিস্তৃত করতে সচেষ্ট। দুই শীর্ষ প্রযুক্তি উদ্যোক্তার এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা সামনের বছরগুলোতে আরও তীব্র আকার ধারণ করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
