
কানাডা তার বাণিজ্য কাঠামো আরও বৈচিত্র্যময় করতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরতা কমাতে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার কৌশল গ্রহণ করেছে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে অর্থনৈতিক উপস্থিতি বৃদ্ধি করার নীতির মূল কেন্দ্রেই রয়েছে ভারত। সাম্প্রতিক নয়াদিল্লি সফরে কানাডার আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমন্ত্রী মনিন্দর সিধু দুই দেশের বাণিজ্য, বিনিয়োগ, উদ্ভাবন ও সংযোগ বাড়ানোর রূপরেখা আরও এগিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন।
দুই দেশের মধ্যে সপ্তম মন্ত্রী পর্যায়ের বাণিজ্য সংলাপ পুনরায় সক্রিয় হয়েছে, যেখানে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পিয়ুষ গয়াল এবং সিধু বিভিন্ন খাতে সম্ভাবনার দিকগুলো তুলে ধরেন। কানাডা বিশেষভাবে জ্বালানি রূপান্তর ও শিল্প প্রবৃদ্ধিতে ভারতের চাহিদা পূরণে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস, কার্বন ক্যাপচার প্রযুক্তি এবং গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সরবরাহকে ভবিষ্যতের সহযোগিতার কেন্দ্র ধরে এগোচ্ছে।
বাণিজ্য সম্প্রসারণে কানাডার বেসরকারি খাতও সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে। কানাডিয়ান হিন্দু চেম্বার অফ কমার্স জানিয়েছে, আগামী ২ থেকে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত একটি বৃহৎ বাণিজ্য প্রতিনিধি দল ভারত সফর করবে। দলটি উত্তর প্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, অসমসহ দিল্লি ও চণ্ডীগড়ে সম্ভাব্য বিনিয়োগ ক্ষেত্র পরিদর্শন করবে। সংস্থাটি মনে করছে, ভারতের দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুযোগ হাতছাড়া করলে কানাডার উদ্যোক্তাদের জন্য তা হবে বড় ক্ষতি।
টরন্টোতে ভারতের অ্যাক্টিং কনসাল জেনারেল সফরটিকে অত্যন্ত সময়োপযোগী বলে অভিহিত করেছেন, কারণ দুই দেশের সম্পর্ক গত কয়েক মাসে গতি ফিরে পেয়েছে। একই সঙ্গে একটি বিশেষ বাণিজ্য কমিটি গঠন করে কানাডার পক্ষ থেকে সারা বছর সক্রিয়ভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, আগামী বছরের শুরুতেই আরো কয়েকটি বাণিজ্য মিশন ভারত সফর করবে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। সব মিলিয়ে, ভারত-কানাডা বাণিজ্য করিডর নতুন করে উষ্ণ হয়ে উঠছে এবং আগামী বছরগুলোতে দুই দেশের অর্থনৈতিক যোগসূত্র আরও গভীর হওয়ার সম্ভাবনা স্পষ্ট।
