
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন এলাকায় বিশেষ নাকা চেকিং অভিযান শুরু হয়েছে। গত তিন দিনে তিনটি বাংলাদেশি ট্রলারের মাধ্যমে সীমান্ত অতিক্রমের ঘটনা ধরা পড়েছে। পুলিশের অভিযান চলাকালীন মোট ৭৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের কাকদীপ আদালতে তোলা হয়েছে এবং সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
প্রশাসন উদ্বিগ্ন কেন বাংলাদেশি নাগরিকরা ট্রলারে জলপথে ভারতের সীমান্ত অতিক্রম করছে। তাই শুধুমাত্র স্থলপথ নয়, জলপথেও নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। কাকদ্বীপ, নামখানা ও বকখালি এলাকার ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে দিনের বেলায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। পুলিশ প্রতিটি যানবাহন থামিয়ে নাকা চেকিং করছে এবং তল্লাশি চালাচ্ছে।
সুন্দরবনের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে। জলপথে ট্রলারগুলোকে সন্দেহজনক গতিবিধি থাকলে পুলিশ তা থামিয়ে তল্লাশি করছে। পাশাপাশি রেলস্টেশনগুলোতেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যাত্রীদের ব্যাগ তল্লাশি করে সন্দেহজনক কোনো সামগ্রী থাকলে তা উদ্ধার করা হচ্ছে।
সুন্দরবন অঞ্চলের এই অভিযান স্থানীয় প্রশাসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সীমান্তে নিয়ন্ত্রণহীন চলাচল বন্ধ করতে এবং স্থানীয় মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন সকল স্তরে সতর্ক অবস্থানে আছে। বিশেষ নাকা চেকিংয়ের মাধ্যমে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ করা হচ্ছে। পুলিশের এই পদক্ষেপ স্থানীয় মানুষদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরিয়েছে।
সুন্দরবন, কাকদ্বীপ ও নামখানা এলাকা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রশাসন আশা করছে, নিয়মিত চেকিং ও তল্লাশির ফলে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী এবং সীমান্ত লঙ্ঘনের ঘটনা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসবে। স্থানীয় ও জলপথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার মাধ্যমে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা সম্ভব হবে।
কোনও সন্দেহ ছাড়াই বলা যায়, সুন্দরবনের সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য প্রশাসন এখন সবদিক থেকে প্রস্তুত।
