
এসআইআর নিয়ে উত্তাল বাংলার মাঝেই সংগঠনকে আরও আঁটসাঁট করতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার আবারও ভার্চুয়াল বৈঠকে মুখোমুখি হন বুথস্তরের বিএলএদের সঙ্গে। শুরুতেই তাঁর স্পষ্ট বার্তা কমিশন যতই বিজেপির ‘বি টিম’ হয়ে কাজ করুক, ২০২৬-এর ভোটে মুখ্যমন্ত্রী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। তবে কোনও অবস্থাতেই আত্মতুষ্টিতে ভোগার সুযোগ নেই।
অভিষেকের দাবি, বিহারের ধাঁচে বাংলায় প্রকৃত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে। তাই “গণতন্ত্র বাঁচাতে প্রতিটি দিনই যুদ্ধের মতো,” বলে সতর্ক করেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, আগামী ১৫০ দিন ঠিক করবে রাজ্যের পরবর্তী ২০ বছরের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ, ফলে সংগঠনের একটুও ঢিলে চলবে না।
বিএলও-অ্যাপের গাফিলতি নিয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সাধারণ মানুষকে হাজিরা দিতে বাধ্য করা, দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের উপর বাড়তি চাপ এসব কমিশনের ভুলের ফল বলেই মনে করেন তিনি। নির্দেশ দেন, প্রতিটি বিধায়কের দায়িত্ব আগামী ১০ দিনের মধ্যে অন্তত ১৫ জন বিএলএকে সক্রিয় করা। রাজ্যসভার সদস্যদের প্রতিদিন অন্তত ৫০টি ফোন করে কর্মীদের উৎসাহ বাড়ানোর নির্দেশও দেন তিনি।
অভিষেক জানান, সাংসদ-বিধায়কদের সক্রিয়তার রিপোর্ট ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে। ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আরও একটি রিপোর্ট জমা দিতে হবে, যা ৬ ডিসেম্বর তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠাবেন।
এসআইআর ঘোষণার পর আতঙ্কে ৩৫ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে তিনজন বিএলও এমন দাবি করে অভিষেক বলেন, “এটা মানুষের অধিকারের উপর নির্লজ্জ আঘাত।” ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এনুমারেশন, ৯ ডিসেম্বর ড্রাফট রোল, এবং ৭ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ এই সময়সীমা মাথায় রেখে তৃণমূল ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ‘ভোট রক্ষা শিবির’ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাঁদের লক্ষ্য ১০০% ফর্ম সাবমিশন।
