
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া ডুপ্লিকেট সিকিউরিটিজ সার্টিফিকেট জারি করার নিয়ম আরও সহজ করার প্রস্তাব করেছে, যাতে বিনিয়োগকারীদের কাগজপত্রের ঝামেলা কমে এবং প্রক্রিয়াটি সমানভাবে মান্য হয়। বর্তমানে সার্টিফিকেট হারালে বিনিয়োগকারীদের এফআইআর দাখিল, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ, পাশাপাশি পৃথক হলফনামা ও ইন্ডেমনিটি বন্ড জমা দিতে হয়। তবে পাঁচ লক্ষ টাকার কম মূল্যের ক্ষেত্রে কিছু ছাড় ছিল।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, রেজিস্ট্রার ও কোম্পানিগুলোর মধ্যে নথিপত্র সংক্রান্ত নিয়মে অসঙ্গতি থাকায় বহু বিনিয়োগকারী সমস্যায় পড়ছেন। এই পরিস্থিতি বদলাতে সেবি সহজ নথিপত্র জমার সীমা পাঁচ লাখ থেকে বাড়িয়ে দশ লাখ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাজার মূলধন, বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ও গড় পোর্টফোলিওর আকার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, সেই প্রেক্ষাপটে এই পরিবর্তন করা জরুরি বলে মনে করছে সংস্থাটি।
নতুন সীমার নিচে হলে বিনিয়োগকারীদের আর আলাদা হলফনামা ও ইন্ডেমনিটি বন্ড দিতে হবে না। এর বদলে একটি যৌথ অ্যাফিডেভিট–কাম–ইন্ডেমনিটি বন্ড জমা দিলেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এতে সময় ও খরচ দুটোই কমবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করাও সহজ হবে।
তবে দশ লক্ষ টাকার বেশি মূল্যের সিকিউরিটি হারালে এফআইআর বা সমমানের অভিযোগপত্র দাখিলের শর্ত বহাল থাকবে। সেবি মনে করে, বড় অঙ্কের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা বজায় রাখা প্রয়োজন।
সব ডুপ্লিকেট সার্টিফিকেটই ইস্যু হবে ডিম্যাট মোডে, যা সম্পূর্ণ ডিম্যাটরাইজেশনের দিকে আরেক ধাপ এগোতে সাহায্য করবে। এখনো যেসব বিনিয়োগকারীর হাতে শারীরিক সার্টিফিকেট রয়েছে, তাদের জন্য অধিকার পুনর্বহাল প্রক্রিয়াও এতে দ্রুততর হবে।
এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে ডুপ্লিকেট সিকিউরিটি সার্টিফিকেট পাওয়ার জটিলতা কমবে, সময় বাঁচবে এবং বাজারে স্বচ্ছতা বাড়বে বলে বাজার বিশেষজ্ঞদের মত।
