
মার্কিন অ্যাথলিট জ্যামি বুকারকে দ্রুত পদচ্যুত করে ২০২৫ সালের ওয়ার্ল্ডস স্ট্রংগেস্ট ওম্যান প্রতিযোগিতায় বড়সড় পরিবর্তন এসেছে। টেক্সাসে অনুষ্ঠিত এই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে বুকার প্রথমে বিজয়ীর মুকুট পেলেও পরে আয়োজকদের তরফে জানানো হয় যে তিনি জন্মসূত্রে পুরুষ হওয়ায় তাকে নারী বিভাগের প্রতিযোগিতার যোগ্য হিসেবে দেখা হচ্ছে না। এই সিদ্ধান্তের ফলে ব্রিটেনের শক্তিমান অ্যাথলিট আন্দ্রিয়া থম্পসনকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়েছে। মূল প্রতিযোগিতায় তিনি দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার আলিরা-জয় কাউলি উঠে এসেছেন দ্বিতীয় স্থানে।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই আন্তর্জাতিক ক্রীড়ামহলে আবারও তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। ট্রান্সজেন্ডার অ্যাথলিটদের অংশগ্রহণ, লিঙ্গভিত্তিক বিভাগ নির্ধারণ, এবং প্রতিযোগিতার ন্যায্যতা সবকিছু নিয়েই নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। বুকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে আয়োজকদের বক্তব্য অনুযায়ী, জন্মের সময় লিঙ্গ নথিবদ্ধকরণই বিভাগ নির্ধারণে প্রধান মানদণ্ড। তাদের দাবি, শুরুতেই সঠিক তথ্য জানা থাকলে তিনি নারী বিভাগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারতেন না।
থম্পসন নিজের শিরোপা ফিরে পেলেও পুরো অভিজ্ঞতাকে অত্যন্ত ক্লান্তিকর ও মানসিকভাবে চাপপূর্ণ বলে ব্যাখ্যা করেছেন। তার মতে, বছরের পর বছর পরিশ্রম করে অর্জিত সাফল্য এমন এক ঘটনায় ছায়াচ্ছন্ন হয়ে গেল যা প্রতিযোগিতার ভাবমূর্তিকেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে।
অন্যদিকে ক্রীড়া বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, লিঙ্গ পরিচয় ও প্রতিযোগিতার কাঠামো নিয়ে বিশ্বজুড়ে যে আলোচনা চলছে, এই ঘটনা তার একটি তীব্র উদাহরণ। নিয়মগুলো আরও স্পষ্ট ও বিজ্ঞানের ভিত্তিতে সাজানো না হলে ভবিষ্যতে আরও বড় বিতর্ক তৈরি হতে পারে।
শক্তিমান ক্রীড়ার এই মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে এমন ঝড় উঠবে কেউই ভাবেনি। এখন নজর বুকারের প্রতিক্রিয়া এবং ভবিষ্যতে এই নিয়ম নিয়ে আয়োজকদের সম্ভাব্য পরিবর্তনের দিকে।
