
পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে তৃণমূলের পরামর্শদাতা সংস্থা আইপ্যাকের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ তুলে নতুন করে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়াল নন্দীগ্রামে। বৃহস্পতিবার হরিপুরে সাংবাদিক বৈঠকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, তাঁর নির্বাচনী এলাকার একাধিক বিজেপি নেতাকে গত কয়েক মাস ধরে দলবদলের প্রলোভন দেখানো হচ্ছে। আইপ্যাকের কর্মীরা গোপনে বিভিন্ন স্তরের বিজেপি নেতাদের কাছে গিয়ে সুবিধার আশ্বাস দিচ্ছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
শুভেন্দুর দাবি, আমদাবাদ-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি আহ্বায়ক দিলীপ পালের কাছে কয়েক মাস আগে আইপ্যাকের তরফে তৃণমূলে যোগদানের প্রস্তাব পৌঁছায়। কিন্তু দিলীপ রাজি না হওয়ায় তারই ‘শাস্তি’ হিসেবে তাঁর ছেলে দীপাঞ্জন পালের ভিলেজ পুলিশের চাকরি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। রেয়াপাড়া ফাঁড়ির ইনচার্জের পাঠানো হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় দীপাঞ্জনকে চাকরি হারানোর খবর জানানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, পুলিশ সুপারকে ব্যবহার করে আইপ্যাক রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছে।
তিনি আরও দাবি করেন, নন্দীগ্রাম থেকে ন’জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে শুধুমাত্র ‘হিন্দু হওয়ার কারণে’ অন্য থানায় বদলি করা হয়েছে। এ নিয়ে তিনি কড়া সমালোচনা করে বলেন, ‘‘আমরা ছেড়ে দেব না। দীপাঞ্জন ইতিমধ্যেই হাই কোর্টে মামলা করেছেন। আশা করি আগামী সপ্তাহেই শুনানি শুরু হবে।’’ আইনি পথে এই সিদ্ধান্তের বদল ঘটবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
যদিও পুলিশ সুপার এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। অন্যদিকে, তৃণমূলের সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, শুভেন্দু প্রায় প্রতিদিনই অবাস্তব অভিযোগ তোলেন। তাঁর দাবি, বিজেপি এতটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে যে প্রতিটি প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের মধ্যেই তারা রাজনীতির ছায়া দেখছে। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘নিজেদের সংগঠন সামলানোই বরং শুভেন্দুবাবুর উচিত।’’
নন্দীগ্রামের এই চাকরি বিতর্কে দুই শিবিরের তরজার ফলে জেলা রাজনীতিতে ফের উত্তেজনা বাড়ল।
