
নোটবন্দির পর কেটে গিয়েছে প্রায় দশ বছর। জাল নোট ও কালো টাকার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দাবি নিয়ে ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। সময়ের সঙ্গে সেই সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। শীতকালীন অধিবেশনের মাঝেই সেই প্রসঙ্গ ফের তুললেন কলকাতা দক্ষিণের তৃণমূল সাংসদ মালা রায়। বিদেশে থাকা অপ্রকাশিত সম্পত্তি ও কালো টাকা ফেরত আনার বিষয়ে মোদী সরকারের সাফল্যের খতিয়ান জানতে চান তিনি। তার লিখিত উত্তরে নতুন পরিসংখ্যান তুলে ধরল কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০১৫ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর এই তিন মাসে মোট ৪ হাজার ১৬৪ কোটি টাকার অপ্রকাশিত বিদেশি সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। সেই অনুযায়ী কেন্দ্র সংগ্রহ করেছে ২ হাজার ৪৭৬ কোটি টাকা কর ও জরিমানা। অর্থ মন্ত্রকের মতে, আয়কর আইনে ‘কালো টাকা’ নামে কোনও পৃথক সত্তা নেই। বিদেশে থাকা অপ্রকাশিত সম্পত্তি প্রকাশের যে আইন রয়েছে, সেই কাঠামোর ভিত্তিতেই এই মূল্যায়ন করা হয়।
গত দশ বছরের সার্বিক হিসেবও সংসদে পেশ করেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী। তাঁর তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৮৭টি বিদেশি অপ্রকাশিত সম্পত্তির সন্ধান মিলেছে। এই সম্পদের উপর ভিত্তি করে ৪০ হাজার ৫৬৪ কোটি টাকা দাবি তুলেছে আয়কর দফতর। তবে দাবি তোলা অর্থের তুলনায় উদ্ধার হয়েছে মাত্র ৩৩৯ কোটি টাকা। এতে পরিষ্কার, বিদেশি সম্পত্তির খোঁজ মিললেও কার্যকরভাবে সেই অর্থ আদায়ে ফারাক রয়ে গিয়েছে।
তৃণমূল সাংসদ মালা রায়ের প্রশ্ন ছিল দুই ভাগে বিদেশে থাকা কালো টাকা কতটা উদ্ধার হয়েছে এবং গত দশ বছরে কত কালো টাকা দেশ ছাড়িয়েছে। প্রথম প্রশ্নের উত্তর দিলেও দ্বিতীয় প্রশ্নে কেন্দ্র কোনও তথ্য দেয়নি। ফলে কালো টাকার গতি-প্রকৃতি নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক আরও জোরালো হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
