
অ্যাপল নতুন ম্যাকবুক প্রো এম৫ বাজারে এনে আগের এম৩ প্রো মডেলের তুলনায় স্পষ্ট পারফরম্যান্স উন্নতি দিয়েছে। এম৫–এ রয়েছে ১০-কোর CPU, ১০-কোর GPU, ১৬-কোর নিউরাল ইঞ্জিন এবং আগের চিপের তুলনায় বাড়তি মেমরি ব্যান্ডউইথ। এ কারণে ব্রাউজারভিত্তিক কাজ, মিডিয়া এডিটিং, ডেটা বিশ্লেষণ থেকে শুরু করে অনডিভাইস AI-নির্ভর টাস্ক সব ক্ষেত্রেই প্রতিক্রিয়া গতি বেশি অনুভূত হয়েছে। বিশেষত LM Studio-তে বড় ভাষা-মডেল চালানো এবং DiffusionBee-তে ছবি তৈরি করার সময় এম৫ দ্রুত স্থিতিশীল আউটপুট দেয়।
আগের এম৩ প্রো মডেলের তুলনায় এই বেসলাইন চিপ অনেকটাই প্রো-লেভেলের কাছাকাছি পারফরম্যান্স দিতে পারে। দৈনন্দিন মাল্টিটাস্কিং, ভিডিও এনকোডিং, স্প্রেডশিট-ভিত্তিক বিশ্লেষণ সব ক্ষেত্রেই এম৫ আরও মসৃণভাবে কাজ করেছে। GPU-র উন্নতি গেমিং পারফরম্যান্সেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
তবে ১৬GB ইউনিফায়েড মেমরি ভ্যারিয়েন্টে বড় মডেল চালাতে গিয়েও আগের মতোই সীমাবদ্ধতা দেখা গেছে। ২০ বিলিয়ন প্যারামিটারের মডেল লোড করতে গেলে আউট-অব-মেমরি ত্রুটি দেখা দেয়। ভারী মাল্টিটাস্কিং অবস্থায় ভিডিও এনকোডিং ও ডেটা-হ্যান্ডেলিং একসঙ্গে করলে সিস্টেম চাপ অনুভব করে। অর্থাৎ মেমরি ক্যাপাসিটি আগের মতোই সীমা নির্ধারণ করে।
ডিজাইনের কিছু স্থায়ী সীমাবদ্ধতাও রয়ে গেছে ফেস আইডি নেই, কিবোর্ডে নম্বরপ্যাড নেই, আর সামগ্রিক বাহ্যিক অভিজ্ঞতা আগের মডেল থেকে তেমন বদলায়নি। যারা ইনপুট-কেন্দ্রিক কাজ করেন বা উন্নত অথেনটিকেশন চেয়েছিলেন, তাদের জন্য দৃশ্যমান পরিবর্তন নেই।
সব মিলিয়ে অনডিভাইস AI, GPU-নির্ভর কাজ বা স্থায়ী উচ্চ-পারফরম্যান্সের প্রয়োজন থাকলে ম্যাকবুক প্রো এম৫ একটি স্পষ্ট আপগ্রেড। কিন্তু যারা বেশি মেমরি, নতুন ডিজাইন বা উন্নত ফিচারের অপেক্ষায় ছিলেন, তাদের জন্য পরবর্তী প্রজন্মে বেশি পরিবর্তন আশা করা যায়।
