
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সামনে এল চমকপ্রদ মোড়। যাঁর লেখা অভিযোগপত্র থেকেই তদন্তের সূত্রপাত অর্থাৎ প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলির সেই নামই উঠে এসেছে সিবিআইয়ের নতুন চার্জশিটে। সোমবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে এই অতিরিক্ত চার্জশিট জমা পড়ে। আখতার ছাড়াও চার্জশিটে যুক্ত হয়েছে শশীকান্ত চন্দক নামে আরও এক ব্যক্তির নাম।
এই মামলায় আগেই সন্দীপ ঘোষসহ একাধিক কর্তাকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তবে আখতারের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা পড়লেও এখনও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি। আখতার জানিয়েছেন, চার্জশিটের কপি হাতে পাননি, আইনি প্রক্রিয়া চলবে আইনজীবীদের মাধ্যমে।
২০২৩ সালে আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের লিখিত অভিযোগ পাঠিয়েছিলেন আখতার। অভিযোগ ওঠে, সেই অভিযোগের পরই তাঁকে বদলি করে পাঠানো হয় মুর্শিদাবাদ, পরে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে। সম্প্রতি পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করলেও তা গৃহীত হয়নি; উলটে স্বাস্থ্য দফতর তাঁকে সাসপেন্ড করে।
স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, সিবিআইয়ের তদন্তে উঠে এসেছে আখতারের অস্বাভাবিক ভূমিকা। সহকারী সুপার থেকে ডেপুটি সুপার হিসেবে থাকাকালীন সরঞ্জাম কেনাবেচায় তাঁর প্রভাব অত্যন্ত সন্দেহজনক ছিল। তদন্ত অনুযায়ী, একটি সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দিতে লক্ষাধিক টাকা দাবি করেছিলেন তিনি। ২০২০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে তাঁর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে ২ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকা, পাশাপাশি তাঁর স্ত্রীর অ্যাকাউন্টেও এসেছে ৫০ হাজার। বিমানযাত্রার ক্ষেত্রেও তিনি ব্যক্তিগত সুবিধা নিয়েছিলেন বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে।
এই সমস্ত তথ্যের ভিত্তিতেই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। এখন সিবিআইয়ের চার্জশিটে নাম ওঠায় আরজি কর দুর্নীতিকাণ্ডে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসনিক মহলেও এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।
