
বাংলায় সামগ্রিক ভোটার তালিকা সংস্কার প্রকল্প SIR নিয়ে চাপ বাড়ছে জেলা থেকে মহকুমা স্তর পর্যন্ত। এই পরিস্থিতিতেই প্রশাসনিক মহলকে নতুন করে আশ্বস্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার মুখ্য সচিব মনোজ পন্থের নেতৃত্বে জেলা শাসক, মহকুমা শাসক ও বিডিওদের সঙ্গে নির্ধারিত ভিডিও কনফারেন্সে আচমকাই যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, SIR-এর অতিরিক্ত চাপ থাকা সত্ত্বেও উন্নয়নমূলক প্রকল্প এক মুহূর্ত বন্ধ করা যাবে না।
বৈঠকের সূত্রে জানা যায়, মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনের আধিকারিকদের উদ্দেশে স্পষ্টভাবে জানান, SIR-এর কাজ ঘিরে চাপ, ফোন ও তদারকি বেড়ে গিয়েছে তিনি বুঝতে পারছেন। কিন্তু সেই আতঙ্কে কোনও আধিকারিককে পিছিয়ে গেলে চলবে না। তাঁকে উদ্ধৃত করে সূত্রের দাবি, তিনি বলেন রাত করে ফোন করে ভয় দেখানো হোক বা বদলির চাপ, প্রশাসনকে দমিয়ে রাখা যাবে না। সরকার প্রশাসনের পাশে রয়েছে।
প্রাক্তন আমলা সুব্রত গুপ্তকে বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসেবে পাঠানো নিয়েও অন্দরে চাপ বাড়ছিল। নির্বাচন কমিশন মৃত, নিখোঁজ ও ডুপ্লিকেট ভোটারের সংখ্যা প্রত্যাশা অনুযায়ী কমেনি বলে একাধিক পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে। কমিশনের এই সক্রিয়তায় জেলা ও মহকুমা স্তরে তৎপরতা যেমন বেড়েছে, তেমনই বেড়েছে উদ্বেগ। প্রশাসনিক মহলের একাংশ মনে করছেন, লাগাতার ফোন নজরদারি কাজের গতি ব্যাহত করছে।
এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা ঘিরে কেউ সমস্যা তৈরি করতে চাইলে তা কড়া হাতে দেখতে হবে। পাশাপাশি জরুরি পরিষেবা, বিশেষত অনলাইনে জাতি শংসাপত্র বা নথির আবেদন নিয়ে সাধারণ মানুষের যেন কোনও অসুবিধা না হয়, সেই দিকেও জোর দিতে বলেন তিনি। বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে এসে যাঁরা অনলাইনে আবেদন করতে পারছেন না, তাঁদের পাশে দাঁড়াতে নির্দেশ দেন তিনি।
মঙ্গলবার আবার মন্ত্রী, সচিব ও জেলা শাসকদের সঙ্গে বৃহত্তর পর্যালোচনা বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনও নজর রাখছে, সেখানে SIR ও উন্নয়ন একসঙ্গে চালানোর বিষয়ে আরও কী নির্দেশ আসতে পারে।
