
প্রস্তাবিত HIRE Act–এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে H-1B ভিসার বার্ষিক কোটা ৬৫,০০০ থেকে বাড়িয়ে ১,৩০,000 করার উদ্যোগে নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে মার্কিন উচ্চ-দক্ষতা ভিত্তিক অভিবাসন নীতি। ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান রাজা কৃষ্ণমূর্তি সম্প্রতি বিলটি পুনরায় উপস্থাপন করেন। তাঁর দাবি, দ্রুত বেড়ে ওঠা প্রযুক্তি খাতে দক্ষ কর্মীর ঘাটতি মেটাতে বিদেশি ট্যালেন্ট আনা যেমন জরুরি, তেমনই দেশের নিজস্ব STEM শিক্ষা-ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করাও একইসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ।
HIRE Act–এর অন্যতম মূল প্রস্তাব হলো মূল H-1B ক্যাপ দ্বিগুণ করা এবং মার্কিন উচ্চতর ডিগ্রিধারীদের জন্য বরাদ্দ ২০,০০০ অতিরিক্ত কোটাও তুলে দেওয়া। এর ফলে প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং, গবেষণা ও স্টার্টআপ সেক্টরে কর্মী নিয়োগকারীরা আরও বড় ট্যালেন্ট-পুল থেকে নিয়োগ করতে পারবেন। পাশাপাশি বিলটি মার্কিন স্কুলে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও গণিত শিক্ষায় বিনিয়োগ বাড়ানোরও নির্দেশ দেয়।
তবে H-1B নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম দফা প্রেসিডেন্সি থেকেই বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে উত্তপ্ত। এবারও পরিস্থিতি ব্যতিক্রম নয়। ক্ষমতায় ফিরে ট্রাম্প নতুন ঘোষণায় জানিয়েছেন, H-1B রুটে কর্মী নিয়োগকারী কোম্পানিগুলিকে বছরে ১ লক্ষ ডলার ফি দিতে হবে। তাঁর অভিযোগ এই ভিসা প্রোগ্রামকে অনেক কোম্পানি আমেরিকান কর্মীদের বদলে কম খরচে বিদেশি কর্মী নিয়োগের সরঞ্জাম হিসেবে ব্যবহার করছে। মার্কিন কমার্স সেক্রেটারিও প্রোগ্রামটিকে “স্ক্যাম” বলে অভিহিত করেন। এমনকি এক শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক দাবি করেন, ভারতীয় আবেদনকারীদের ৮০–৯০ শতাংশ ভিসা নাকি “জালিয়াতির মাধ্যমে” নেওয়া হয় যা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।
এদিকে পরিসংখ্যান বলছে, H-1B ভিসার সবচেয়ে বড় উপকারভোগী ভারতীয়রাই। ২০২২–২৩ অর্থবর্ষে জারি হওয়া মোট প্রায় চার লক্ষ অনুমোদিত ভিসার ৭২ শতাংশই গিয়েছে ভারতীয়দের কাছে। নতুন HIRE আইন বাস্তবায়িত হলে ভারতীয় পেশাজীবীদের সুযোগ আরও বাড়বে, তবে একইসঙ্গে কঠোর ফি কাঠামো ও রাজনৈতিক চাপও তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।
