
অক্টোবরে ভারতের শিল্পোৎপাদন কার্যত থমকে গেল। পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি রূপায়ণ মন্ত্রক (MoSPI) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, শিল্পোৎপাদন সূচক (IIP) ওই মাসে বৃদ্ধি পেয়েছে মাত্র ০.৪ শতাংশ। সেপ্টেম্বরের ৪ শতাংশ ও গত বছরের একই মাসের ৩.৫ শতাংশ বৃদ্ধির তুলনায় এটি উল্লেখযোগ্য পতন। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, দুর্গাপূজা, দীপাবলি ও ছটের মতো একাধিক উৎসব থাকায় কার্যদিবস কমে যাওয়াই এই মন্থর গতির মূল কারণ।
ব্যবহারভিত্তিক তথ্যের বিশ্লেষণে দেখা যায়, অবকাঠামো ও নির্মাণ সামগ্রীর উৎপাদন ৭.১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে শিল্পক্ষেত্রে কিছুটা গতি জুগিয়েছে। পুঁজিসামগ্রী উৎপাদন বেড়েছে ২.৪ শতাংশ এবং ইন্টারমিডিয়েট পণ্যের উৎপাদন ০.৯ শতাংশ। অন্যদিকে, প্রাইমারি গুডস ০.৬ শতাংশ সঙ্কুচিত হয়েছে। ভোক্তা টেকসই পণ্যের উৎপাদন কমেছে ০.৫ শতাংশ এবং নন-ডিউরেবল পণ্যের উৎপাদন নেমে গেছে ৪.৪ শতাংশ।
এপ্রিলে–অক্টোবর ২০২৫-২৬ সময়ে শিল্পোৎপাদন বেড়েছে ২.৭ শতাংশ। এর মধ্যে উৎপাদন খাতেই সর্বাধিক অবদান ৩.৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি। বিদ্যুৎ উৎপাদন মূলত স্থির থেকেছে, খনি খাত সঙ্কুচিত হয়েছে ১.৯ শতাংশ।
খাতভিত্তিক তথ্য বলছে, উৎপাদন খাতের বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ১.৮ শতাংশ। বেসিক মেটাল (৬.৬%), কোক ও রিফাইন্ড পেট্রোলিয়াম পণ্য (৬.২%), এবং মোটরগাড়ি, ট্রেলার ও সেমি-ট্রেলার (৫.৮%) এই বৃদ্ধিকে এগিয়ে নিয়েছে। হট-রোল্ড কয়েল, মাইল্ড স্টিল শিটস ও অ্যালয় স্টিল পণ্যের বিক্রি বেসিক মেটাল খাতে গতি এনেছে। পেট্রোল, ডিজেল, হার্ড কোকের উৎপাদন বেড়ে পেট্রোলিয়াম খাত শক্তিশালী হয়েছে। মোটরগাড়ি খাতে যন্ত্রাংশ, প্যাসেঞ্জার কার ও বাণিজ্যিক গাড়ির উৎপাদন বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে।
অন্যদিকে, অক্টোবরে খনি খাত ১.৮ শতাংশ এবং বিদ্যুৎ খাত ৬.৯ শতাংশ সঙ্কুচিত হয়েছে। দীর্ঘস্থায়ী বৃষ্টি ও শীতল আবহাওয়ার কারণে বিদ্যুৎ চাহিদা কমে যাওয়াকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হ্রাসের প্রধান কারণ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
