
সঞ্চার সাথী অ্যাপ নিয়ে গোপন নজরদারি বিতর্কের মধ্যেই কেন্দ্র জানাল, অ্যাপটি বাধ্যতামূলক নয় এবং ইচ্ছা না হলে যেকোনও ব্যবহারকারী এটি মুছে ফেলতে পারবেন। কেন্দ্রের নির্দেশে স্মার্টফোনে অ্যাপটি প্রি-ইনস্টল করার সিদ্ধান্ত ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তীব্র সমালোচনা শুরু হওয়ার পরই এই ব্যাখ্যা দিলেন কেন্দ্রীয় যোগাযোগমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্দিয়া।
তিনি স্পষ্ট বলেন, “আমাদের দায়িত্ব অ্যাপটি সকলকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। ফোনে রাখবেন কিনা, সেটা ব্যবহারকারীর সিদ্ধান্ত। সঞ্চার সাথী রাখতে না চাইলে ডিলিট করে দিন। এটি সম্পূর্ণভাবে ঐচ্ছিক।”
সরকার দাবি করছে, এই অ্যাপের মাধ্যমে বিক্রিত ফোনের সত্যতা যাচাই করা যাবে এবং হারিয়ে গেলে ডিভাইস ট্র্যাক করতেও সাহায্য করবে। তবে বিরোধীরা ও প্রাইভেসি অ্যাক্টিভিস্টরা বলছেন, বাধ্যতামূলকভাবে অ্যাপ প্রি-লোড করানোর সিদ্ধান্ত গণতন্ত্রে নাগরিক স্বাধীনতার পরিপন্থী এবং এটি “বিগ ব্রাদার নজরদারি”র দৃষ্টান্ত হতে পারে। কংগ্রেস সাংসদ রেণুকা চৌধুরী এই বিষয়ে রাজ্যসভায় স্থগিতাদেশ প্রস্তাবও দিয়েছেন।
এদিকে বিজেপি সাংসদ শশাঙ্ক মণি ত্রিপাঠী বলেছেন, অ্যাপটি সাইবার নিরাপত্তা বাড়াতে সাহায্য করবে। “আমি আইআইটি থেকে এসেছি, তাই সাইবার আক্রমণের ধরনগুলি জানি। এই অ্যাপ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে,” তার দাবি।
কিন্তু কংগ্রেসের শশী থারুরও মন্তব্য, কোনও অ্যাপ বা প্রযুক্তিকে বাধ্যতামূলক করা গণতন্ত্রে “উদ্বেগের” বিষয়। অন্যদিকে সংসদীয় কাজকর্ম মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেছেন, বিরোধী পক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন ব্যাহত করার চেষ্টা করছে।
সঞ্জার সাথী বিতর্কের পাশাপাশি ভোটার তালিকা সংশোধন, দিল্লি বিস্ফোরণ এবং দূষণ-সহ একাধিক ইস্যুতে উত্তপ্ত হচ্ছে অধিবেশন। ডিসেম্বর ১৯ পর্যন্ত চলবে সেশন, তার মধ্যেই মুখোমুখি সংঘর্ষ আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
