
দেশজুড়ে চলছে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন বা SIR প্রক্রিয়া। আর এই কাজ শেষ হলেই শুরু হবে দেশের বহুল প্রতীক্ষিত জনগণনা এমনটাই জানাল কেন্দ্রীয় নরেন্দ্র মোদি সরকার। লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধী দলনেতা রাহুল গাঁধীর প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জনগণনার সময়সূচি ও পদ্ধতি স্পষ্ট করে দেন।
সরকার জানিয়েছে, দু’দফায় হবে আদমশুমারি। প্রথম দফা ২০২৬ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে, এই সময় বাড়ির তালিকা তৈরির কাজ ও গৃহগণনা হবে। প্রত্যেক রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেই ৩০ দিনের নির্দিষ্ট সময় ধরে এই কাজ চলবে। তবে লাদাখ, জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচলপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের মতো পাহাড়ি অঞ্চলগুলিতে তুষারপাতের কারণে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বরেই হবে গৃহতালিকা তৈরি। দ্বিতীয় দফা ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে, যেখানে নাগরিক গণনা বা প্রকৃত জনগণনা সম্পন্ন হবে।
নিত্যানন্দ রাই জানান, বিভিন্ন মন্ত্রক, বিভাগ ও আগের জনগণনার তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রশ্নমালা তৈরি করা হচ্ছে। ১৫০ বছরের বেশি ইতিহাস থাকা ভারতীয় আদমশুমারি এবার প্রথমবার বৃহৎ আকারে ডিজিটাল নির্ভর হবে। মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে নাগরিকরাই নিজেদের তথ্য আপলোড করতে পারবেন। তথ্য যাচাই করে কেন্দ্রীয় সার্ভারে সংরক্ষণ করা হবে।
এদিকে বহুদিন ধরেই চলেছে জাতিগণনার দাবি। বিরোধীদের চাপের মুখে কেন্দ্র আগেই এই বিষয়ে নীতিগত সম্মতি জানিয়েছিল। এবার কেন্দ্র বলেছে, ২০২৭ সালে আদমশুমারির পাশাপাশি জাতিগণনাও হবে, যা ১০০ বছর পর দেশে প্রথম। তবে শ্রেণিগণনা অর্থাৎ SC, ST ও OBC–র সংখ্যাগত বিশদ হিসেব প্রকাশ করা হবে না।
মানুষের সামাজিক-অর্থনৈতিক অবস্থার পূর্ণ চিত্র পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে সংশয় রয়েছে। পাশাপাশি আদমশুমারির তথ্য প্রকাশ কবে হবে, তা জানায়নি কেন্দ্র। ২০১১ সালের হিসেব প্রকাশে দু’বছর লেগেছিল। ফলে ২০২৯ সালের গণনার আগে সব তথ্য সামনে আসবে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে।
