রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে পরিবহন ভাতা আরও একবার কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। নতুন নির্দেশ অনুযায়ী, রোগীরা আর ২০০ টাকার বেশি পরিবহন ভাতা পাবেন না। এর আগে, এই ভাতা ছিল ৬০০ টাকা। তবে, বেসরকারি সংস্থা প্রকল্পটি পরিচালনা করার সময় রোগীরা পুরো টাকাই পেতেন। রাজ্য সরকার সরাসরি স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ভাতার পরিমাণ ধীরে ধীরে কমতে থাকে। প্রথমে ৬০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৪০০ টাকা করা হয়। এর মধ্যে ২০০ টাকা প্রশাসনিক খরচ হিসাবে কেটে নেওয়া হত। এবার আরও এক ধাপ কমিয়ে রোগীদের হাতে মাত্র ২০০ টাকা দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য ভবনের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে।
সম্প্রতি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের পরিবহন ভাতা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, রোগীদের সই করিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছেন হাসপাতালের কিছু কর্মী। এ নিয়ে তদন্তের দাবিও উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে পরিবহন ভাতা কমানোর এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ রোগী এবং তাঁদের পরিবার। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, যে রোগীরা শারীরিকভাবে দুর্বল এবং পরিবহনের জন্য নির্ভরশীল, তারা মাত্র ২০০ টাকায় কীভাবে বাড়ি ফিরবেন। একইসঙ্গে, স্বাস্থ্য ভবন কি আগে থেকেই প্রকল্পের টাকা তছরূপের বিষয়টি জানত, এমন সন্দেহও জোরালো হয়েছে।
স্বাস্থ্য ভবনের তরফে এ বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা না দেওয়া হলেও এই সিদ্ধান্তে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের উদ্দেশ্য এবং পরিচালনা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। রোগীদের দাবি, পরিবহন ভাতা পুনরায় বাড়ানোর পাশাপাশি দুর্নীতির যথাযথ তদন্ত করা হোক।
