দুর্গাপুর পুরনিগম এলাকায় শুধুমাত্র বাণিজ্যিক গাড়ি থেকে বেআইনি ভাবে টোল আদায়ের অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল স্থানীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পদ্যোগীদের সংগঠন। তাদের দাবি, সরকারি অনুমোদন ছাড়াই বছরের পর বছর এই টোল আদায় চলছিল। সেই মামলার রায়ে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের অনুমতি ছাড়া টোল আদায় বেআইনি।
দুর্গাপুর পুরনিগমের অধীনে সাতটি টোল প্লাজা থেকে বছরে প্রায় ৭ কোটি টাকা আদায় করা হত। এই অর্থ পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের বেতন এবং বিভিন্ন পরিষেবার জন্য ব্যবহৃত হত বলে দাবি পুরনিগমের। তবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পদ্যোগীদের অভিযোগ, এই টাকার কোনও হিসাব দেওয়া হত না এবং এটি বেআইনি তোলাবাজির পর্যায়ে পড়ে।
আদালতের নির্দেশের পর পুরনিগমের মুখ্য প্রশাসক অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আপাতত সমস্ত টোল আদায় বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের অনুমোদন পাওয়ার পরই ফের টোল আদায় শুরু করা হবে। অনুমোদন পেতে প্রায় তিন মাস সময় লাগতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
যদিও আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও হ্যানিমেন সরণি, কাঞ্জিলাল সরণি, নাসের এভিনিউ, পিসিবিএল রোড, নাচন রোড, বনফুল সরণি এবং শ্যামপুর মোড়ে সাতটি টোল প্লাজায় কোনও নোটিশ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভা ও জেলা পরিষদের টোল আদায়ের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
হাইকোর্টের রায়ে এই টোল আদায় প্রক্রিয়া সাময়িক বন্ধ হলেও, আইন মেনে তা ফের চালু করার জন্য পুরনিগম উদ্যোগী হয়েছে বলে জানা গেছে।