নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকার মাজদিয়া কলেজের কাছে সীমান্তের নিকটে মাটির নিচে লুকিয়ে থাকা একটি বাঙ্কার থেকে বিপুল পরিমাণ কাশির ওষুধ উদ্ধার করেছে বিএসএফ। শুক্রবার বিএসএফ জওয়ানরা একটি বিশেষ অভিযানে এই বাঙ্কারের সন্ধান পান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চাষের জমির পাশে একটি ঘর নির্মাণ করেছিল কয়েকজন ব্যক্তি, যেটি চাষের কাজ দেখভালের জন্য ব্যবহৃত হত বলে দাবি করা হয়। তবে ওই ঘরের পাশেই মাটির নিচে বাঙ্কারের একটি মুখ লুকানো ছিল। বাঙ্কারের মুখটি দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে প্রায় ৩ ফুট।
বিএসএফ জওয়ানরা মাটি সরিয়ে ঢাকনা খুলতেই চমকে যান। দেখা যায়, বাঙ্কারের ভিতরে অসংখ্য পেটি ভর্তি কাশির ওষুধ জমা করা রয়েছে। এই ওষুধগুলো পাচারের উদ্দেশ্যে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল বলে অনুমান।
ঘটনার পর বিএসএফ ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা যৌথভাবে তদন্ত শুরু করেছে। বাঙ্কারটি শুধু পাচারের কাজে ব্যবহার হত, নাকি এর সঙ্গে অন্য কোনো নাশকতার পরিকল্পনা জড়িত ছিল, তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী দল।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মাজদিয়া ও কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকা দীর্ঘদিন ধরেই পাচারকারীদের নিরাপদ আস্তানা। সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাগুলি থেকে নিয়মিত পাচার চালানো হয়। পুলিশের কিছু কর্মীর সঙ্গে আঁতাত করে এই কাজ নির্বিঘ্নে চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বাঙ্কার থেকে বিপুল কাশির ওষুধ উদ্ধারের ঘটনায় বিএসএফের তৎপরতায় পাচার চক্রের একটি বড় অংশের পর্দা ফাঁস হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
