আরও একবার আন্দোলনের মঞ্চে তিলোত্তমার নাম। তবে এবার কড়া প্রতিবাদের বদলে অভিনব পন্থায় ন্যায়ের দাবি তুলছে আন্দোলনকারীরা। রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, তিলোত্তমার জন্মদিন। আর সেই জন্মদিনে এক অভিনব কর্মসূচি হাতে নিয়েছে চিকিৎসক-নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
প্রতিবাদী মঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রবিবার বিকালে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘বাংলার মেয়ের জন্মদিন’। এই স্মরণসভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সিবিআই, কলকাতা পুলিশ, বিধাননগর কমিশনারেট, স্বাস্থ্য ভবন, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের প্রতিনিধিদের। শুধু তাই নয়, এবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেও আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
গত ছ’মাসে কলকাতার রাজপথে তিলোত্তমার ন্যায়বিচারের দাবিতে একের পর এক আন্দোলন হয়েছে। কখনো রাতভর ধরনা, কখনো বা মিছিল। তিলোত্তমার মা-সহ বহু আন্দোলনকারী পথে নেমেছেন। তবে এখনো অধরা ন্যায়। এবার সেই প্রতিবাদে নতুন মোড়—গান্ধীগিরির পথে হেঁটে প্রশাসনের শুভবুদ্ধির উদয়ের বার্তা দিচ্ছেন তাঁরা।
প্রতিবাদী মঞ্চের এক সদস্য জানান, আমরা চাই না, এই লড়াই শুধু রাস্তায় মিছিল-ধরনাতেই সীমাবদ্ধ থাকুক। প্রশাসন ও সরকারকে বোঝাতে চাই, আমরা শুধুই প্রতিক্রিয়া দেখাই না, আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়েও নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরতে পারি।
স্মরণসভা উপলক্ষে বিশেষ আমন্ত্রণপত্র তৈরি করা হয়েছে, যেখানে ছ’মাস পেরিয়ে গেলেও বিচার অধরাই থেকে যাওয়ার প্রসঙ্গ স্পষ্ট করা হয়েছে। সেই আমন্ত্রণপত্র নিয়েই আন্দোলনকারীরা পৌঁছে গেছেন বিধাননগর কমিশনারেট, লালবাজার, স্বাস্থ্য ভবন ও মেডিক্যাল কাউন্সিলের দফতরে। এবার সরাসরি নিমন্ত্রণ জানানো হবে মুখ্যমন্ত্রীকেও।
তিলোত্তমার মা জানিয়েছেন,
ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে। তবে এবার প্রশাসনের শুভবুদ্ধির উদয়ের আশা করছি।
কতটা ফলপ্রসূ হবে এই গান্ধীগিরি, সেটাই এখন দেখার।