দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম সেমিফাইনালে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া মুখোমুখি হতে চলেছে। রোহিত শর্মার নেতৃত্বে ভারতের দল গ্রুপ পর্বে জয় পেয়েছে হ্যাটট্রিক করে, কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এই ম্যাচে জয়ী হতে হলে আরও অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে ভারতকে।
অস্ট্রেলিয়ার অজি ক্যাপ্টেন প্যাট কামিন্স, যিনি ২০২৩ সালে ভারতীয় মাঠে অনুষ্ঠিত ওয়ান ডে বিশ্বকাপে মন্তব্য করেছিলেন, “আমেদাবাদের লক্ষাধিক ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের চুপ করাতে চাই,” সেই অস্বস্তি এখনও ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তদের মনে রয়ে গেছে। সেই বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, আর তার পরেই নতুন কিছু ক্ষতও তৈরি হয়েছে। ভারতের সামনে এই চ্যালেঞ্জ আরও কঠিন, বিশেষত যখন অস্ট্রেলিয়া কঠিন প্রতিপক্ষ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে।
অস্ট্রেলিয়া গ্রুপ ম্যাচে পাকিস্তানের ব্যাটিং সহায়ক পিচে খেললেও, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রেকর্ড রান তাড়া করার পরে সেমিফাইনালে আক্রমণাত্মক ভাবনা গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু দ্বি-গুণ চ্যালেঞ্জ হল দুবাইয়ের মন্থর পিচে খেলতে গিয়ে, যেখানে ভারতের স্পিন আক্রমণকে অস্ট্রেলিয়া ঠেকাতে পারে। স্টিভ স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এবং অ্যালেক্স ক্যারি স্পিনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট দক্ষ হলেও, ট্রাভিস হেড গত কয়েক বছরে ভারতের জন্য অন্যতম বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ভারতের জন্য খেলার মূল চাবি হতে পারে মিডল অর্ডার এবং মিডল ওভার। গ্রুপ পর্বে টপ অর্ডার ব্যর্থ হলেও, শ্রেয়স আইয়ার, অক্ষর প্যাটেল এবং হার্দিক পান্ডিয়ার মতো প্লেয়াররা ম্যাচের পরিস্থিতি পাল্টাতে পারেন। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সফল হতে হলে টপ অর্ডারে হেড এবং ইংলিশদের দ্রুত ফেরাতে হবে। মিডল ওভারে স্টিভ স্মিথ এবং ম্যাক্সওয়েলদের আটকে রাখাও বড় চ্যালেঞ্জ।
ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট কৌশল নির্ধারণে শঙ্কিত, বিশেষত বোলিং কম্বিনেশন নিয়ে। আগের ম্যাচে যেখানে তিন স্পিনারের কম্বিনেশন কার্যকর হয়েছিল, সেখানেও দ্বিধা রয়ে গেছে। বোলিং কম্বিনেশনে পরিবর্তন প্রয়োজন হতে পারে, কারণ একটানা উইকেট না পেলেই অস্ট্রেলিয়ার শক্তিশালী মিডল অর্ডার চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
