পরিতোষ সাহা:বীরভূম
শিঙারাতে পরিমান মতো চাটনি না মেলায় দোকানের এক কর্মচারীকে চড় মারার অভিযোগ উঠল দুবরাজপুর পৌরসভার ৭ ওয়ার্ডের কাউন্সিলার নাজিরউদ্দিন এর বিরূদ্ধে।কাউন্সিলারকে গ্রেফতারের দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দারা ১৪ জাতীয় সড়ক দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধ করে।পরে পুলিশ তাকে আটক করে।
অনুব্রত ঘনিষ্ট দুবরাজপুর পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলার,বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি দোকানে শিঙারা কিনতে যান ।তিনি তিনটি শিঙারা কিনলে দোকানের কর্মচারী জিতেন্দ্রনাথ সাহা তাকে একটি চাটনি দেয়।তাতেই বিরক্ত কাউন্সিলার।শুরু হয় বচসা।পরে হঠাৎ করে দোকানের কর্মচারীকে সপাটে চড় মারের এই তৃণমূল কাউন্সিলার।খবর চাউর হতেই,কাউন্সিলারের গ্রেফতারের দাবিকে ১৪ জাতীয় সড়কে বিক্ষোভ শুরু হয়।স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে দোকানদারেরা বিক্ষোভ শুরু করেন।উত্তেজনা চরমে ওঠে।আসরে নামতে হয় দুবরাজপুর পৌরসভার পৌরপিতা পীযুষ পাণ্ডেকে।দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধ চলে।জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত,এই কাউন্সিলার কিছুদিন আগেই দুবরাজপুরের মানসাড় হাসপাতেলের এক নার্সকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।সে সময়ও নিজের পরিচয় জানাতে উদ্দত হয়।এদিনও একই ঘটনা ঘটে।দোকানের কর্মচারী জিতেন্দ্রনাথ সাহা বলেন,“উনি এসে তিনটি শিঙারা চাইলে,শিঙারার সাথে একটি চাটনি দিই।কিন্তু তিনি বেশি পরিমানে চাটনি চাইলে বলেন,আমি কে জানিস।আরও বেশি করে চাটনি দে।তিনটি শিঙারাতে একটি চাটনি দেওয়ায় আমাকে টেনে চড় মারে।আমি রাস্তায় পড়ে যাই।” এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন,“এই গুলো মানসিকতার ব্যাপার।এর আগেও একে সাবধান করা হয়েছে।বিষয়টি জেলা নেতৃত্বকে জানাবো।”ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা।তিনি বলেন,“একজন জনপ্রতিনিধির এই ধরণের ব্যবহার কাম্য নয়।এর আগেও একই ঘটনা ঘটিয়েছে।আমরা দেখতে চাই,তৃণমূল দল ও প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেয়।”
যদিও এই ঘটনার পরিপ্রক্ষিতে অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলার নাজিরউদ্দিনকে পুলিশ আটক করেছে।
