কলকাতা সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গ জ্বলছে গনগনে রোদে! চৈত্র মাস পেরোতেই বসন্ত যেন বিদায় নিয়েছে, জায়গা করে দিয়েছে দাবদাহ। শহর থেকে গ্রাম— গরমের তীব্র দহন জর্জরিত করছে রাজ্যবাসীকে। একাধিক জায়গায় পারদ ইতিমধ্যেই ছুঁয়েছে ৪০ ডিগ্রির ওপরে। এমন পরিস্থিতিতে শিশুদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে প্রাথমিক স্কুলগুলির সময়সূচি বদলের চিন্তাভাবনা শুরু করল রাজ্য সরকার।
শনিবার রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এক নির্দেশিকা জারি করে বিভিন্ন জেলার জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানদের থেকে জানতে চেয়েছে, স্কুলগুলির সময়সূচি পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা কতটা? প্রচণ্ড গরমের জেরে দুপুরের ক্লাস কি সরিয়ে সকালের দিকে নিয়ে আসা দরকার? এ নিয়ে স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মতামতও চাওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন, ‘‘আমরা রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ডিপিএসসি চেয়ারম্যানদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাঁরা তাঁদের মতামত পাঠালে সেই রিপোর্ট স্কুল শিক্ষা দফতরকে জানানো হবে। আশা করছি, মঙ্গলবারের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।’’
এদিকে, আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পশ্চিমের কয়েকটি জেলায় ইতিমধ্যেই তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রবিবারও দক্ষিণবঙ্গের চারটি জেলায় রয়েছে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা। ফলে এই দাবদাহে শিশুদের দীর্ঘক্ষণ স্কুলে রাখা কতটা নিরাপদ, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।
উল্লেখ্য, রাজ্যের একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয় এখনো ডে-সেশনে চলে। দুপুরের রোদ মাথায় নিয়ে শিশুদের স্কুলে আসা-যাওয়ার কষ্ট কমাতে সময়সূচি বদল জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে এখনও দু’দিন অপেক্ষা করতে হবে। সেই পর্যন্ত স্কুলের অভিভাবকরা তাকিয়ে রয়েছেন সরকারের দিকেই!
