লোকসভায় এদিন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সংবিধান নিয়ে বিশেষ ডিবেট-এ অংশ নেন এবং এই উপলক্ষে কংগ্রেসকে তোপ দেগে দেশের ঐক্য নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন। তিনি জানান, ২৬ নভেম্বর সংবিধানের ৭৫ বছর পূর্ণ হয়েছে এবং এ উপলক্ষে সংবিধান নির্মাতাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য শুরু করেন।
মোদী বলেন, ভারত গণতন্ত্রের মা, যেখান থেকে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের সূচনা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, ভারতে প্রথম থেকেই মহিলাদের ভোটাধিকার দেওয়া হয়েছিল, যা গণতন্ত্রের এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এরপর মোদী জাতীয় ঐক্য নিয়ে কথা বলেন এবং কংগ্রেসের প্রতি আক্রমণ শানাতে ছাড় দেননি। তিনি বলেন, “ঔপনিবেশিক মানসিকতা নিয়ে থাকা লোকজন, বিবিধতায় বিষাক্ত বীজ বুনে দেশের একতা খণ্ডন করার চেষ্টা করছেন।” মোদী জানান, ভারতের বৈচিত্র্যই তার শক্তি এবং ঐক্যের উৎস, যা দেশের মূল ভিত্তি।
সংবিধানের ৭৫ বছরের ইতিহাসে মোদী তুলে ধরেন আর্টিক্যাল ৩৭০-এর প্রসঙ্গ, যা তিনি দাবি করেন, “দেশের একতায় বাধা ছিল”। তিনি আরও বলেন, আর্টিক্যাল ৩৭০-কে তুলে দেওয়ার মাধ্যমে দেশের একতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
এছাড়া, মোদী ১৯৭৫ সালের ইমার্জেন্সির প্রসঙ্গও তোলেন, যেখানে সংবিধানকে আঘাত করা হয়েছিল এবং নাগরিকদের অধিকার খর্ব করা হয়েছিল। তিনি দাবি করেন, ইমার্জেন্সি “একটি পরিবারকে রক্ষার্থে” প্রবর্তন করা হয়েছিল এবং কংগ্রেসের মাথায় এর পাপ রয়েছে, যা কখনও ধোয়া যাবে না।
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে দেশটির সংবিধান এবং জাতীয় ঐক্য নিয়ে গভীর আলোচনা হয়েছে, যা রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।