বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছিল ভারতের জন্যই। কিন্তু সৌজন্যতা বজায় রেখে হলেও বিজয় দিবসে ভারতের নাম করলেন না বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। সোমবার বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। দীর্ঘ ৩০ মিনিট ধরে ভাষণ দিয়েছেন তিনি। কিন্তু তাতে একবারও ভারতের নাম করেননি ইউনূস। তার পরিবর্তে বেশিরভাগ সময়টাই শেখ হাসিনাকে বিশ্বের ভিন্নতম স্বৈরাচারী শাসক হিসেবে দাবি করে আক্রমণ চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। নিজের শাসনকাল নিয়ে নিজের ঢাক নিজে পিটিয়েছেন।
ভারতের প্রতি ইউনিস কৃতজ্ঞতা না জানালেও এদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের জওয়ানদের স্যালুট জানিয়েছেন। তিনি বলেন,”আজ বিজয় দিবসে ১৯৭১ সালে ভারতের ঐতিহাসিক জয়ে অবদান রাখা বীর জওয়ানদের সাহসিকতা এবং আত্মবলিদানকে সম্মান জানাচ্ছি। তাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগ এবং অবিচল সংকল্পই আমাদের দেশকে সুরক্ষিত রেখেছিল এবং আমাদের গৌরব এনে দিয়েছে। তাঁরা যে আত্মত্যাগ করেছেন, তা চিরকাল প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে এবং আমাদের দেশের ইতিহাসে গেঁথে থাকবে।”
বিজয় দিবস বাংলাদেশের কাছেও অমর। তাদের সেই ইতিহাস তৈরীর ক্ষেত্রে ভূমিকা ছিল ভারতের। কিন্তু সেই সব কে একেবারেই উপেক্ষা করে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শুধুমাত্র বলেন, “বাঙালি জাতির বুক ফুলিয়ে দাঁড়ানোর দিন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অনেক অস্ত্রকে অগ্রাহ্য করে খালি হাতে রুখে দাঁড়িয়ে সম্মুখসমরে লড়াই করে নিজেদের জন্য রাষ্ট্র গঠন করেছেন”। রীতিমতো দায় সেরেছেন তিনি।
এই বছরের বিজয় দিবসকে বিশেষ বলে দাবি করেন ইউনুস। তাঁর কথায়, কয়েক মাস আগেই ‘পৃথিবীর ঘৃণ্যতম স্বৈরাচারী শাসককে’ পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছেন ছাত্র-যুবরা। তাই বিজয় দিবস থেকে নতুন বাংলাদেশ তৈরীর স্বপ্ন দেখান তিনি। ইউনূসের কথায়, ‘নতুন বাংলাদেশ গড়ার শুভ সূচনা হল।’ বাংলাদেশের সংখ্যালঘু অত্যাচারের বিষয়ে সাফাই দিলেন তিনি। বাইরে দুনিয়ায় যাতে বাংলাদেশকে অস্বস্তি করতে হয় তার জন্য নাকি অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ আনেন। তিনি আশ্বাস দেন, ‘নয়া বাংলাদেশে’ সংখ্যাগরিষ্ঠদের থেকে ভয় পেতে হবে না সংখ্যালঘুদের।