রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে বিরোধী INDIA জোটের অনাস্থা প্রস্তাবে সমর্থন দেবে না বিজু জনতা দল (বিজেডি)। রবিবার বিজেডি সাংসদ নিরঞ্জন বিশি জানান, এই সিদ্ধান্তের জন্য INDIA জোটকেই দায়ী করা হচ্ছে। রবিবার এই প্রসঙ্গে নিরঞ্জন বলেন, “INDI জোটের তরফ থেকে একজনও এ নিয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি কিংবা আমাদের সাহায্য ও সমর্থন চাননি। তাহলে তো এটা খুবই স্বাভাবিক যে আমরা এই অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেব না।”
কয়েকদিন আগে নবীন পট্টনায়েক এই বিষয়ে মন্তব্য করেছিলেন যে, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি বলেন, “আমরা সব কিছু নজরে রাখছি এবং যা প্রয়োজন, তাই করব।” গত সপ্তাহের শুরুতে নবীন পট্টনায়েক বলেছিলেন, ধনখড়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ হলে পরিস্থিতি দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
১০ ডিসেম্বর বিরোধী সাংসদরা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ও উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব বা ইমপিচমেন্ট রেজোলিউশন পেশ করেন। তাঁদের মূল অভিযোগ, তিনি পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেন এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে সরকারের ‘আবেগপ্রবণ মুখপাত্র’ হিসেবে কাজ করেন। এমনকি প্রকাশ্যে বা জনসমক্ষে এই ভূমিকা দেখা যায়।
ধনখড়ের বিরুদ্ধে বিরোধীদের এককাট্টা হওয়া এবং তাদের রণংদেহী অবস্থান ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে, যদি বিজেডি INDI জোটের সমর্থন না দেয়। তাদের সাংসদরা যদি অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট না দেন, তাহলে এই প্রস্তাব পাস করা প্রায় অসম্ভব, এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
রাজ্যসভায় বিজেডি-র সাতজন প্রতিনিধি রয়েছেন। ২০২২ সালে জগদীপ ধনখড়কে উপ রাষ্ট্রপতি পদে মনোনীত করা হলে, বিজেডি সাংসদরা তার পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। তবে গত ছ’মাসে বিজেডি রাজ্যসভায় দুই সাংসদ হারিয়েছে। মমতা মহন্ত ও সুজিত কুমার বিজু জনতা দল ত্যাগ করে বিজেপি-তে যোগদান করায়, তাদের রাজ্যসভার সাংসদ পদও হারাতে হয়।
কয়েক মাস আগে মমতা মহন্ত আবার রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে মনোনীত হন এবং বর্তমানে তিনি বিজেপির প্রতিনিধিত্ব করছেন। এর কিছুদিন পর, সুজিত কুমারও রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হন। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে, বিজেপি অশ্বিনী বৈষ্ণবকে রাজ্যসভার সাংসদ পদে প্রার্থী করে এবং তাঁকে ওডিশা থেকে মনোনীত করা হয়। বিজেডি তাকে সমর্থন জানিয়েছিল।