তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক বিবৃতিতে ইভিএম নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুলনায় ভিন্ন অবস্থান প্রকাশ পেয়েছে। সোমবার সংসদের বাইরে তিনি বলেছেন, “যদি ভোটের আগে এবং গণনা চলাকালে ইভিএম খতিয়ে দেখা হয়, তবে কারচুপির কোনও সুযোগ নেই।” তাঁর মতে, যদি কারও কাছে ইভিএম কারচুপির প্রমাণ থাকে, তবে তা নির্বাচন কমিশনে পেশ করা উচিত, অথবা আন্দোলন করতে হবে।
এটি এমন এক সময়ে বলা হলো যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অতীতে একাধিকবার ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ তুলেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, তৃণমূলের ভোটও চলে যাচ্ছে বিজেপির দিকে। তবে অভিষেকের বক্তব্য ছিল, “যাঁরা ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তাঁদের যদি কোনও প্রমাণ থাকে, সেটা নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়ে দেখানো উচিত।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমি এতদিন ধরে ভোট করেছি, আমার বিশ্বাস ইভিএমে কারচুপি করা সম্ভব নয় যদি সঠিকভাবে র্যান্ডমাইজেশন এবং মক পোলিং করা হয়।”
এছাড়া, অভিষেক সাফ জানিয়ে দেন যে, যদি কেউ মনে করেন ইভিএম হ্যাক করা সম্ভব, তবে সেই প্রযুক্তি বা সফটওয়্যার দিয়ে প্রমাণ দেখাতে হবে। এরপরেই রাস্তায় নামার পরামর্শও দেন তিনি।
এই মন্তব্যের পর অনেকেই ভাবছেন, কি কারণে অভিষেক এই অবস্থান নিয়েছেন, বিশেষ করে যখন মমতা তার আগের বক্তব্যে ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন। এর পাশাপাশি, জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা একই ধরনের বক্তব্য তুলে ধরেন, যেখানে তিনি দাবি করেন, ইভিএমের প্রতি বিরোধী দলের সমর্থন তখনই ছিল, যখন তারা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল।