শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিসানায়েকে সোমবার ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, আর্থিক মন্দার সময়ে ভারতের সহায়তা শ্রীলঙ্কার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিনি উল্লেখ করেন, “দ্বিপক্ষীয় ঋণ পুনর্গঠন এবং অর্থনৈতিক সহায়তায় ভারত আমাদের সহায়তা করেছে। এই সহযোগিতার ফলে আমরা আর্থিক সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি।” তিনি আরও বলেন, শ্রীলঙ্কা ভারতের পররাষ্ট্র নীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান অর্জন করেছে।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, “ভারত শ্রীলঙ্কার উন্নয়নের অগ্রাধিকার অনুযায়ী সবকটি দ্বিপাক্ষিক প্রকল্প পরিচালনা করে।” ভারতের সহযোগিতার মধ্যে ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ ও অনুদান সহায়তা অন্তর্ভুক্ত। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কার ২৫টি জেলার মধ্যে সবক’টিতেই ভারতের সহযোগিতা রয়েছে। পাশাপাশি, ভারত শ্রীলঙ্কার রেলওয়ে, বন্দরের সিগন্যালিং ব্যবস্থা পুনর্নির্মাণ, শিক্ষা এবং কৃষি উন্নয়নেও সহায়তা করবে।
মোদী আরও জানান, আগামী পাঁচ বছরে ভারত শ্রীলঙ্কার ১৫০০ সরকারি কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেবে। এছাড়া, শ্রীলঙ্কার কৃষি, দুগ্ধ ও মৎস্য চাষের উন্নয়নেও ভারত সহযোগিতা করবে। শ্রীলঙ্কায় ভারতের ডিজিটাল পরিচয় প্রকল্পেও অংশগ্রহণ করা হবে।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট আশ্বাস দেন যে, তাঁর দেশ ভারতের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনও ধরনের হুমকি সৃষ্টি করতে দেবে না। তিনি বলেন, “ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে এবং আমরা ভারতকে অব্যাহত সমর্থন দেবে।”
তবে, এই বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন। বিশেষ করে, যে বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে ভারত সাহায্য করেছিল, সেই বাংলাদেশ আজও বারবার ভারত বিরোধী কথা বলছে। এ প্রসঙ্গে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, শ্রীলঙ্কা যে মনোভাব দেখাচ্ছে, তা প্রশংসার যোগ্য হলেও, বাংলাদেশ কখন এই শিক্ষা নেবে?