বাগুইআটিতে প্রোমোটার কিশোর হালদারকে মারধর করার ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর সমরেশ চক্রবর্তী এখনও অধরা রয়েছেন। মঙ্গলবার, বাগুইআটি থানার পুলিশ তাঁর বাড়িতে নোটিশ পাঠিয়েছে, যেখানে তাঁকে থানায় হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে—রমেন মণ্ডল এবং শুভেন্দু মণ্ডল, যাদেরকে বারাসাত আদালতে তোলা হলে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, রবিবার কিশোর হালদার বাগুইআটি থানায় সমরেশ চক্রবর্তী এবং তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ দায়ের করেন। তবে, পুলিশ বারবার চক্রবর্তীর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে না পেয়ে অবশেষে তাঁর বাড়ির দেওয়ালে নোটিশ সেঁটে দিয়েছে। ওই নোটিশে সমরেশ চক্রবর্তীকে বাগুইআটি থানায় হাজির হয়ে বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসার অনুরোধ করা হয়েছে।
পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, এই ঘটনায় কিশোর হালদারের ওপর হামলা এবং মারধরের মূল কারণ ছিল ৩০ লাখ টাকা তোলার চেষ্টা। প্রোমোটারকে টাকা না দেওয়ায় তাঁকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারধর করা হয়। এই ঘটনায় গোবিন্দ দাস, বাবাই, শুভেন্দু এবং রমেন মণ্ডলের নাম উঠে এসেছে। পুলিশের তদন্তে আরও তথ্য পাওয়া গেছে, যেখানে অভিযোগ করা হয়েছে যে সমরেশ চক্রবর্তী প্রোমোটারের কাছে ৩০ লাখ টাকা দাবি করেছিলেন এবং এ ঘটনায় তাঁর অনুগামীরা হামলা চালায়।
এই ঘটনা আইন-শৃঙ্খলার বিষয়ে এক নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে, এবং সমরেশ চক্রবর্তী এখনও পুলিশের কাছে গ্রেফতার এড়াতে বেপরোয়া।