গাব্বায় চতুর্থ দিনের খেলার শেষ দিকে ভারত ফলো-অনের বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছে। হাতে ছিল এক উইকেট, প্রয়োজন ছিল ৩৩ রান। ক্রিজে ছিলেন জসপ্রীত বুমরাহ এবং আকাশদীপ। ভারতের ওপেনার কেএল রাহুল প্রথমে খুব একটা আশাবাদী ছিলেন না যে তাঁরা সেই রান তুলে ফলো-অনের শিকার হতে দেবেন না। বরং ড্রেসিংরুমে ফিরে গিয়ে আবার ব্যাটিংয়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার কথাও ভাবছিলেন। তবে, বুমরাহ এবং আকাশদীপ তাঁদের দারুণ লড়াইয়ের মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত ২৭ রান করে আকাশদীপ এবং ১০ রান করে বুমরাহ অপরাজিত থাকেন। তাঁদের এই অবিশ্বাস্য ইনিংসের কারণে ভারত ফলো-অনের বিপদ থেকে মুক্তি পায়।
মঙ্গলবার, গাব্বায় চতুর্থ দিনের খেলার শেষে এক সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল বলেন, “আমি ওই মুহূর্তে খুবই চিন্তিত ছিলাম। ভাবছিলাম, ড্রেসিংরুমে ফিরে আবার প্যাড পরব এবং ব্যাটিংয়ের জন্য প্রস্তুতি নেব। কিন্তু আমি নিশ্চিত ছিলাম না যে অস্ট্রেলিয়া ফলো-অন চাপাবে কি না। তাই আমি সেই ভাবনায় ছিলাম।” তবে, বুমরাহ এবং আকাশদীপের লড়াইয়ের পর তিনি আনন্দিত হয়ে বলেন, “দারুণ শট খেলেছে ওরা, অসাধারণ লড়াই করেছে। সেই সময়টা ছিল অত্যন্ত মনোগ্রাহী।”
রাহুল আরও বলেন, “শেষ ৩০ মিনিট অত্য়ন্ত স্মরণীয় ছিল, কারণ যে রানটা হয়েছে, সেটার জন্য নয়, বরং যে ভাবে ওরা লড়াই করেছে, বাউন্সার সামলেছে—সেটা সত্যিই প্রশংসনীয়। পিচে পেস-বাউন্স ছিল, কিন্তু তারা ভালোভাবে পরিস্থিতি সামলেছে এবং দারুণ শট মেরেছে।”
এখানে একটি বড় অবদান রয়েছে রাহুলেরও। কারণ, প্রথম ইনিংসে ভারতীয় দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেছিলেন তিনি। তাঁর দৃষ্টিতে, “আমি শুধু নিজের মূল খেলা খেলতে চেষ্টা করি। শট খেলার সময় শরীরের কাছে বল রাখি এবং এইভাবেই এগিয়ে যাই।” রাহুলের এই দায়িত্বশীল ইনিংসই দলের জন্য অনেকটা পথ সহজ করে দিয়েছে, বিশেষত যখন বাকিরা দ্রুত আউট হয়ে গিয়েছিলেন।
এতটুকু বললে হয়তো একবাক্যে বলা যায়, রাহুলের শক্ত মনোবল এবং বুমরাহ-আকাশদীপের অটল লড়াই মিলিয়ে ভারত ফলো-অনের বিপদ থেকে বেরিয়ে এসেছে।