গত কয়েকদিন কিছুটা শান্ত ছিল কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত, তবে গতরাতে ফের বিকট বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা গেছে। শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দারা দাবি করেছেন, রাত ২টা নাগাদ নাফ নদের তীর থেকে প্রায় আট থেকে দশ রাউন্ড গুলি চলার আওয়াজ শোনা যায়। এছাড়া মর্টারের আওয়াজও শোনা গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। সামাজিক মাধ্যমেও একাধিক ব্যক্তি দাবি করেছেন যে, টেকনাফ এবং বান্দরবনের কিছু অংশ হয়ত আরাকান আর্মি দখল করে নিয়েছে। তবে এই নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করা হয়নি এবং বাংলাদেশের ভূখণ্ডে আরাকান আর্মির উপস্থিতির প্রমাণও পাওয়া যায়নি।
এদিকে, রাখাইন প্রদেশের অধিকাংশ অঞ্চল বর্তমানে আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে। এই প্রদেশের সঙ্গেই বাংলাদেশের ২৭১ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে, যা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে। বাংলাদেশ সরকারের বৈদেশিক উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, বাংলাদেশ অপ্রকাশিতভাবে আরাকান আর্মির সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে। ২০১৭ সাল থেকে প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গা মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের ৩৩টি শিবিরে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে।
এখনকার পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সীমান্তে টহল জোরদার করেছে। তবে সীমান্ত পেরিয়ে এখনও রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে, যার ফলে দেশটির জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের উপস্থিতি কক্সবাজার এলাকায় পরিবেশ দূষণ এবং অপরাধ বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাদক পাচার, মানব পাচার, অস্ত্র পাচারের মতো কার্যকলাপে বহু রোহিঙ্গা জড়িত বলে অভিযোগ উঠছে। যদি আরও রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করে, তবে তা দেশের নিরাপত্তা ও সমাজিক পরিস্থিতির জন্য বড়ো বিপদ হয়ে উঠতে পারে।