ডিএ (মহার্ঘ ভাতা) বৃদ্ধির দাবিতে নবান্ন বাসস্ট্যান্ডে ধরনার পরিকল্পনা করলেও আদালতের অনুমতি পেলেন না পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগ্ৰামী যৌথ মঞ্চ। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ তাঁদের আবেদন খারিজ করে দেন। আদালত জানায়, সংবেদনশীল এলাকায় অবস্থানের অনুমতি দিলে তা বৈষম্যের কারণ হতে পারে। এর আগে একই এলাকায় গ্রুপ ‘ডি’ ঐক্যমঞ্চকেও ধরনার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
ডিএ আন্দোলনকারীরা নবান্ন বাসস্ট্যান্ডেই ধরনায় বসার জন্য অনড় ছিলেন। আদালত তাঁদের বিকল্প হিসেবে মন্দিরতলা বাসস্ট্যান্ডে ধরনার প্রস্তাব দেয়। তবে সেই প্রস্তাব আন্দোলনকারীরা গ্রহণ করেননি। সংগ্ৰামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সর্বভারতীয় মূল্যসূচক অনুযায়ী মহার্ঘ ভাতা প্রদান, স্বচ্ছভাবে স্থায়ী নিয়োগ এবং অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ী করার দাবিতে এই আন্দোলনের আয়োজন করা হয়েছে।
আগামী ২২ থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত নবান্নের সামনে অবস্থান কর্মসূচির ডাক দিয়েছে যৌথ মঞ্চ। এছাড়াও, ২০২৫ সালেও ডিএ বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন চলবে বলে জানানো হয়েছে। জানুয়ারি মাসে কলকাতার সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে শহিদ মিনার পর্যন্ত একটি মিছিল করার পরিকল্পনাও রয়েছে।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অ্যালেন পার্কে ক্রিসমাস উৎসবের সূচনায় যোগ দিলেও ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে কোনও ঘোষণা করেননি। আপাতত রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ষষ্ঠ বেতন কমিশনের ১৪ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন। আন্দোলনকারীদের মতে, বর্তমান হারে ডিএ প্রদানে বঞ্চিত হচ্ছেন রাজ্যের কর্মচারীরা।
এই পরিস্থিতিতে নবান্ন বাসস্ট্যান্ডে ধরনার অনুমতি না মেলায় আন্দোলনকারীদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা এখন দেখার বিষয়।