বাংলাদেশে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সুন্দরবন অঞ্চলে একাধিক ‘ট্রানজিট ক্যাম্প’ গড়েছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা। কাশ্মীরের জঙ্গি জাভেদ মুন্সির গ্রেফতারের পর জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ জানায়, এই ক্যাম্পগুলি ব্যবহার করে জলপথে বাংলাদেশে প্রবেশ করানো হচ্ছে অস্ত্র এবং অর্থ। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের জেরায় জাভেদ জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তান ও কাশ্মীর সীমান্তে অস্ত্র পাচার বন্ধ হওয়ায় লস্কর-ই-তৈবা এই নতুন পথ বেছে নিয়েছে।
জাভেদ মুন্সি, যিনি ক্যানিংয়ের একটি বাড়িতে গা-ঢাকা দিয়েছিলেন, জানায় যে, তিনি লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ কমান্ডারদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন এবং সেখান থেকে পাকিস্তান, কাশ্মীর ও ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে অর্থ এবং অস্ত্র পাঠানোর কাজ করছেন। সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ, ক্যানিং, বাসন্তী, গোসাবা, বসিরহাট ও হাসনাবাদ এলাকা লস্কর-ই-তৈবা তাদের অপারেশন পরিচালনার জন্য বেছে নিয়েছে।
এছাড়াও, জাভেদ আরও জানান, বাংলাদেশের বিভিন্ন যুবককে অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের নামেও ১০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলেছে, যা হাওলার মাধ্যমে পাকিস্তানে টাকা পাঠানোর কাজে ব্যবহৃত হয়। এই তথ্য অনুসারে, জাভেদের মাধ্যমে লস্কর-ই-তৈবা তার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছে এবং বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় নতুন ক্যাম্প স্থাপন করতে চাচ্ছে।
এ ধরনের ঘটনাগুলি বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে নজরদারি বাড়িয়েছে।