বছরটা বেশ আনন্দের সঙ্গেই শেষ হতে চলেছে দেব অনুরাগীদের। গত ২০ ডিসেম্বর বড় পর্দায় মুক্তি পেয়েছে খাদন। এখনো পর্যন্ত রমরমিয়ে চলছে এই সিনেমা, বাড়ছে বক্সঅফিস কালেকশন। মাত্র ৪ দিনেই ৪ কোটি ৩০ লাখ টাকার ব্যবসা করে ফেলেছে খাদান। ছবির প্রযোজনার দায়িত্বে দেব এন্টারটেইনমেন্ট ভেঞ্চার্স এবং সুরিন্দর ফিল্মস।
২০০৬ সালে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপরীতে একটি ছেলের চরিত্রে টলি ইন্ডাস্ট্রিতে পদার্পণ করেন লম্বা, শ্যামবর্ণের ছেলেটা। নাম? দেব ওরফে দীপক অধিকারী। এখন সেই ছেলেটাই সিনেপর্দার ‘টনিক’, কখনও আবার অ্যাকশন হিরো। যেকোনো সিনেমায় “চ্যালেঞ্জ নিবি না শালা” বলে অভিনয় করতে পারেন তিনি। প্রায় ১৯টা বছর একের পর এক ছবিতে চ্যালেঞ্জ নিয়ে অভিনয় করে দেব প্রমাণ করে দিয়েছেন, তিনি একাই একশো।
২৫ ডিসেম্বর ৪২ বছরে পা দিলেন তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেতা, প্রযোজক দেব। বাংলার লক্ষ-লক্ষ নারীর হৃদয়ে ঝড় তোলা এই নায়ক ফ্যমিলি নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও যে অ্যাকশন ভুলে যাননি, তার প্রমাণ হলো “খাদান”। বলাই বাহুল্য, টলিউড ইন্ডাস্ট্রির এখন ধারক হলেন দেব। তিনি একের পর এক সিনেমার মাধ্যমে বাংলার মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন। শুধু তাই নয় বাংলার বিনোদন শিল্পে দেবের অবদান জিৎ, প্রসেনজিৎ, ঋতুপর্ণাদের থেকে কোন অংশেই কম নয়।
“আমি মাঠে নামি জেতার জন্য, আর জেতার পর ট্রফি ঘাড়ে করে রোড শো করি”- খাদান সিনেমা মুক্তি পাওয়ার পর দেবের বলা এই সংলাপ এখন সকলের মুখে মুখে। টলিউডের ‘রাজার রাজা’ নিজের জাত চিনিয়েছেন প্রত্যেকটা সিনেমায়। নাহলে কি রাত দুটোর শো হাউজফুল হয়ে যায়? বাংলা সিনেমার যেন সেলিব্রেশন চলছে রাজ্য জুড়ে। অভিনেতা-প্রযোজক নয়, এবার ছবির ক্রিয়েটিভ-ডিরেক্টর হিসাবেও নিজেকে প্রমাণ করেছেন দেব। নিজেকে ভেঙেছেন চরিত্রের জন্য, গড়েছেন নতুন ভাবে।