ঢাকার সেগুনবাগিচায় অবস্থিত বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সরকারের পক্ষ থেকে নতুন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল রাতেই আগের ৭ সদস্যের কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে আহ্বায়ক এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালককে সদস্য সচিব করা হয়েছে। এ কমিটিতে পুলিশ মহাপরিদর্শক, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বেশ কয়েকজন অধ্যাপক রয়েছেন।
অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে তদন্তে নেমে দমকল বিভাগ এখনো সুনির্দিষ্ট কারণ জানাতে পারেনি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী জানান, আগুন মঙ্গলবার রাত ১টা ৫০ মিনিটে লাগে এবং সকাল ৮টা ৫ মিনিটে নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন প্রথমে ভবনের ৬ তলায় শুরু হয়ে ৭ ও ৮ তলায় ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনায় একজন নিহত এবং দুই থেকে তিনজন আহত হয়েছেন। নাশকতার যোগসূত্র আছে কিনা, তা তদন্তসাপেক্ষ বলেও তিনি জানান।
এদিকে, অগ্নিকাণ্ড নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সারজিস আলম। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, এর পেছনে কোনো পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। একইভাবে ছাত্রনেতা আসিফ মাহমুদ তার এক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টে দাবি করেন, দুর্নীতির প্রমাণ নষ্ট করতে এই আগুন লাগানো হতে পারে। তিনি অভিযোগ করেন, “স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের কয়েক হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির নথি ধ্বংসের চেষ্টা হয়েছে।”
সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়সহ পাঁচটি মন্ত্রণালয়ের অফিস ছিল। গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি উঠেছে।