ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের শেষযাত্রা সম্পন্ন হলো শনিবার। দিল্লির কংগ্রেস সদর দফতর থেকে নিগমবোধ ঘাটে সেনাবাহিনীর ট্রাকে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর দেহ। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হয় শেষকৃত্য। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর স্মৃতিতে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হবে। তবে এর অবস্থান নিয়ে এখনও নিশ্চিত সিদ্ধান্ত হয়নি।
স্মৃতিসৌধের জন্য জমির আবেদন নিয়ে রাজনৈতিক টানাপড়েন দেখা দেয়। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে এমন স্থানে মনমোহন সিংয়ের শেষকৃত্যের দাবি জানান, যেখানে তাঁর নামে স্মৃতিসৌধ গড়ে তোলা সম্ভব। এই প্রস্তাবকে ঘিরে বিজেপির বিরুদ্ধে ‘রাজনীতি করার’ অভিযোগ ওঠে। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানিয়ে কংগ্রেস সভাপতি এবং পরিবারকে আশ্বস্ত করেন যে জমি বরাদ্দ করা হবে।
একটি বিবৃতিতে বলা হয়, জমি বরাদ্দের জন্য একটি ট্রাস্ট গঠন করতে হবে, যা সময়সাপেক্ষ। এর মধ্যেই শেষকৃত্য এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে।
মনমোহন সিংয়ের মৃত্যুর পর দেশজুড়ে সাত দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫১ মিনিটে দিল্লির এইমস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ত্রয়োদশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দশ বছর ধরে দেশের নেতৃত্ব দিয়েছেন মনমোহন সিং। তাঁর অর্থনৈতিক সংস্কার নীতির জন্য তিনি দেশের আধুনিক অর্থনীতির স্থপতি হিসেবে পরিচিত।
তাঁর প্রয়াণে ভারত হারালো এক অভিজ্ঞ প্রশাসক এবং রাজনীতিককে, যার অবদান ভারতীয় রাজনীতিতে চিরস্মরণীয়।