দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মুয়ান বিমানবন্দরে ‘ক্র্যাশ ল্যান্ডিং’ করার সময় বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমান ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক থেকে আসা এই বিমানটি অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে এবং সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়। এতে বিমানের কাঠামো প্রায় পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। এখনও পর্যন্ত দু’জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, তবে অন্তত ৮৫ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেজু এয়ারের এই বিমানে ১৭৫ জন যাত্রী এবং ছয়জন ক্রু সদস্য ছিলেন। স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর ফুটেজে দেখা গেছে, দুর্ঘটনার পর বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে কালো ধোঁয়া বের হচ্ছে। জরুরি বিভাগ জানিয়েছে, আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে এবং উদ্ধার কাজ চলছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ল্যান্ডিং গিয়ার সঠিকভাবে কাজ না করায় বিমানটি রানওয়ে থেকে ছিটকে বেড়ার সঙ্গে ধাক্কা খায়। কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে, উড়ন্ত পাখির সঙ্গে সংঘর্ষের কারণে গিয়ারবক্সে ত্রুটি দেখা দেয়, যা এই দুর্ঘটনার মূল কারণ হতে পারে। ভিজ্যুয়াল ফুটেজে দেখা গেছে, ল্যান্ডিং গিয়ার ছাড়াই বিমানটি অবতরণ করতে গিয়ে অগ্নিসংযোগে পরিণত হয়।
অন্যদিকে, গত সপ্তাহে কাজাখস্তানের আকতাউয়ে আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল, যেখানে ৩৮ জন নিহত হন। বিমানের ত্রুটি এবং রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে সেখানে বিতর্ক তৈরি হয়।
বিশ্বব্যাপী ধারাবাহিক বিমান দুর্ঘটনা যাত্রীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। মুয়ান দুর্ঘটনার সঠিক কারণ জানতে তদন্ত চলছে।