আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় নতুন মোড়। সম্প্রতি সিএফএসএল (কেন্দ্রীয় ফরেনসিক ল্যাবরেটরি)-এর রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, নির্যাতিতার যোনিদ্বারে মেলা ডিএনএ-তে এক নারীর উপস্থিতি রয়েছে। ডিএনএ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, D12S391 মার্কারে নির্যাতিতার নমুনার সঙ্গে অন্য এক মহিলার ডিএনএ মিশ্রিত। ওই মহিলার জেনোটাইপ চিহ্নিত হয়েছে 16/22।
ঘটনাটির তদন্তে সিএফএসএল ২৯টি ডিএনএ নমুনা পরীক্ষা করে। রিপোর্টে দাবি, নির্যাতিতার বৃহৎ অন্ত্র, স্তনবৃন্ত ও যোনিদ্বারে ‘গোলমেলে ইঙ্গিত’ রয়েছে। বৃহৎ অন্ত্র থেকে পাওয়া ডিএনএ নমুনা এক নারীর বলে চিহ্নিত হয়েছে, তবে তা নির্যাতিতার নয়। একই সঙ্গে সঞ্জয়ের ডিএনএ-ও এর সঙ্গে পুরোপুরি মেলে না। স্তনবৃন্তে পাওয়া নমুনায় সঞ্জয়ের ডিএনএ মেলার পাশাপাশি অন্য একজন পুরুষের ডিএনএর ইঙ্গিতও মিলেছে।
এই নতুন তথ্যের ভিত্তিতে প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে নির্যাতিতার দেহে অন্য এক নারীর ডিএনএ এলো? এছাড়াও, একাধিক ব্যক্তির জড়িত থাকার সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা আরও বাড়ছে।
এর আগে সিএফএসএল ২১ আগস্টের রিপোর্টে জানিয়েছিল, নির্যাতিতার দেহে একাধিক ব্যক্তির মিশ্র ডিএনএ থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। প্রতিবাদীরা প্রথম থেকেই দাবি করছিলেন, এই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি জড়িত।
এদিকে, তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ সেমিনার রুমে পাওয়া গেলেও সেখানেই ঘটনা ঘটেছে কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। সিএফএসএলের রিপোর্টে দাবি, সেমিনার রুমে খুন বা ধর্ষণের সময় ধস্তাধস্তির চিহ্ন মেলেনি। তবে, ঘটনাস্থলে অপরাধীদের প্রবেশ ও বের হওয়ার সম্ভাবনাকে ‘অত্যন্ত ক্ষীণ’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
তদন্তে একের পর এক নতুন তথ্য উঠে আসায় আরজি কর কাণ্ডের রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে।