নন্দীগ্রামে বিজেপি থেকে তৃণমূলে বড়সড় ভাঙন দেখা গেল। গোকুলনগরে বিজেপি নেতা অশোক করণ এবং নন্দীগ্রাম ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ দেবাশিস দাস-সহ প্রায় ৫০ জন বিজেপি নেতা ও কর্মী তৃণমূলে যোগদান করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, বিজেপি রাজ্যে মেরুকরণের রাজনীতি করছে এবং দলের অস্থির পরিবেশ উন্নয়নের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দলবদলকারী নেতাদের দাবি, পঞ্চায়েত স্তরে ব্যাপক দুর্নীতি চলছে এবং তা দলের ওপরমহলে জানালেও কোনও সমাধান হয়নি। তাঁদের মতে, বিজেপির রাজনীতি নন্দীগ্রামের জন্য ক্ষতিকারক। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের উন্নয়নের রাজনীতিতে আস্থা রেখেই তাঁরা নতুন দলে যোগ দিয়েছেন।
তৃণমূলে এই দলবদল নিয়ে তেমন মাথাব্যথা নেই বলে দাবি করেছেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “যে গেছে সে যাক। এতে বিজেপির কোনও ক্ষতি হবে না। নন্দীগ্রামের হিন্দুরা শুভেন্দু অধিকারী ও নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেই আছেন। তাঁরা জানেন পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশে পরিণত হতে না দেওয়ার জন্য কী করতে হবে।”
যদিও রাজনৈতিক মহল বিজেপির এই ভাঙনকে হালকাভাবে নিতে নারাজ। তাঁদের মতে, শুভেন্দু অধিকারীর রাজনীতির প্রতি আস্থা হারাচ্ছেন অনেকেই। শুধু নন্দীগ্রাম নয়, রাজ্যজুড়েও বিজেপির নেতৃত্বের প্রতি অসন্তোষ বাড়ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই ভাঙন ভবিষ্যতে বিজেপির সংগঠনে বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারে।
এদিকে, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে নন্দীগ্রামে ১৮ দিনের মধ্যে ২ জন তৃণমূল কর্মী খুন হয়েছেন। বদলি করা হয়েছে থানার আইসি অভিজিৎ মণ্ডলকে। এই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।