কুয়োয় পড়ে যাওয়া ৮ বছরের শিশু সুমিত মীনারকে ১৬ ঘণ্টার চেষ্টায় উদ্ধার করা হলেও শেষ পর্যন্ত প্রাণে বাঁচানো গেল না। গুনা জেলার রাঘোগড়ের পিপলিয়া গ্রামের এই বালক শনিবার সন্ধ্যায় ঘুড়ি ওড়াতে বেরিয়ে অসাবধানতাবশত ১৪০ ফুট গভীর কুয়োয় পড়ে যায়। ৩৯ ফুট গভীরে আটকে পড়েছিল সে।
পরিবারের সদস্যরা প্রথমে তার খোঁজ করতে গিয়ে কুয়োর ভিতরে মাথা দেখতে পান এবং তৎক্ষণাৎ পুলিশকে খবর দেন। ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল পৌঁছে দুটি জেসিবি ও পোক্লেন মেশিনের সাহায্যে সমান্তরালে খনন কাজ শুরু করে। রাতভর প্রচেষ্টা চালিয়ে ভোর সাড়ে ৪টার মধ্যে একটি সুড়ঙ্গ তৈরি করে সুমিতকে উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারের পরই শিশুটির অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক ছিল। তাকে অ্যাম্বুলেন্সে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা স্থিতিশীল করার আপ্রাণ চেষ্টা চালালেও, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু হয় সুমিতের। তার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
উদ্ধার অভিযানে এনডিআরএফ কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। শিশুটির নিরাপত্তার জন্য অক্সিজেন সরবরাহ করা হয় এবং কুয়োর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়। তবুও, জল ভর্তি কুয়ো এবং দীর্ঘ সময় আটকে থাকার কারণে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।
জেলা শাসক ডাঃ সতেন্দ্র সিং এবং পুলিশ সুপার সঞ্জীব সিনহা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে উদ্ধারকাজ তদারকি করেন। সুমিতের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার ও গ্রামবাসীদের মধ্যে। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।