সন্দেশখালিতে প্রশাসনিক সভা থেকে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বড় প্রতিশ্রুতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, আগামী দেড় বছরের মধ্যে রাজ্যের বাকি ১৬ লক্ষ মানুষকে পাকা বাড়ি দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। তাঁর দাবি, রাজ্যে ইতিমধ্যে ৪৭ লক্ষ পাকা বাড়ি নির্মাণ হয়েছে রাজ্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, “আবাসন প্রকল্পে গরিব মানুষের জন্য ১২ লক্ষ পাকা বাড়ি নির্মাণের প্রথম কিস্তির টাকা ইতিমধ্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বাকি কাজ আগামী ৬ মাসে সম্পন্ন হবে। তবে এখনও ১৬ লক্ষ মানুষের পাকা বাড়ি বাকি রয়েছে। তাদের জন্য আগামী দেড় বছরের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ হবে।”
এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে মমতা বলেন, “বাংলার বাড়ি প্রকল্পে কেন্দ্র টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। একমাত্র জিএসটি থেকে সংগৃহীত টাকার সামান্য অংশ রাজ্য পায়। শাড়ি কেনা থেকে রেস্তোরাঁয় খাওয়ার ক্ষেত্রেও জিএসটি কাটা হচ্ছে, কিন্তু সেই অর্থের অংশ আমরা সঠিকভাবে পাচ্ছি না।”
মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যের সর্বশেষ সমীক্ষা অনুযায়ী, ২৮ লক্ষ মানুষের তালিকা তৈরি হয়েছিল, যাদের প্রকৃতপক্ষে মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। সেই তালিকার ১২ লক্ষ মানুষের কাছে আর্থিক সাহায্য ইতিমধ্যে পৌঁছে গেছে। সন্দেশখালিতে মমতা বলেন, “আমার লক্ষ্য রাজ্যের প্রতিটি গরিব মানুষকে পাকা বাড়ি দেওয়া। ক্ষমতায় ফিরলে আগামী পাঁচ বছরে আরও বড় পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে।”
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই প্রতিশ্রুতি তৃণমূলের নির্বাচনী প্রচারে বড় ভূমিকা নিতে চলেছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।