পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্তে ক্রমাগত উত্তেজনা বেড়ে চলেছে। সম্প্রতি পাকিস্তানের বিমান হামলায় আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে তেহরিক-ই-তালিবান গোষ্ঠীর ক্যাম্প টার্গেট করা হয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে আফগান-তালিবান বাহিনী পাকিস্তানের সীমান্তে পাল্টা হামলা চালায়। পাকিস্তান দাবি করছে, আফগানিস্তানের মুলুক থেকে জঙ্গিরা পাকিস্তানের সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল, যার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানি সেনা হামলা শুরু করে।
এই সংঘাতে আফগানিস্তানের ৮ জন সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে আরও ১৩ জন। আফগানিস্তান বলছে, পাকিস্তান নিরীহ নাগরিকদের টার্গেট করছে। আফগান-তালিবান বাহিনী পাকিস্তানের সীমান্তের বিভিন্ন ছাউনি যেমন ঘোজগারহি, মাথা সাংগার এবং কোট রাঘারকে টার্গেট করে হামলা চালায়। পাকিস্তানও পাল্টা জবাব দেয়, যার ফলে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান উভয় পক্ষেই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরেই আফগানিস্তানকে সতর্ক করে আসছে, বিশেষ করে তেহরিক-ই-তালিবান গোষ্ঠীকে মদত দেওয়ার অভিযোগে। ইসলামাবাদ আফগানিস্তানকে কূটনৈতিক ভাবে সমাধান আনতে অনুরোধ করলেও কোনো ফল পায়নি। এর পরেই পাকতিকা অঞ্চলে বিমান হামলা চালানো হয়, যাতে ৪৬ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
এদিকে, এই সংঘাতের প্রেক্ষিতে ভারতও পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে, কারণ এই উত্তেজনা বৃহত্তর অঞ্চলে প্রভাব ফেলতে পারে।